পুলিশের মারে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা দলিত কৃষক দম্পতির, নিন্দা রাহুল গান্ধীর

Spread the love

দেশজুড়ে তুমুল শোরগোল ফেলে দিয়েছে মধ্যপ্রদেশের ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো। রাজস্ব অফিসাররা এক দলিত কৃষক দম্পতির জমির ফসল নষ্ট করে দেওয়ায় বাধা দিয়েছিলেন। তাঁদের হঠাতে পুলিশি নিগ্রহের ছবিই উঠে এসেছে সেই ভিডিয়ো। এই ঘটনার চরম নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।

চলতি বছরের শুরুর দিকেই মধ্যপ্রদেশ হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। তাদের দলের একনিষ্ঠ সৈনিক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছিল। সেই জ্যোতিরাদিত্যর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত গুণায় ঘটেছে এই ঘটনা। সরকারের মালিকানাধীন একটি জমিতে কলেজ তৈরি করার জন্য রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা জমির ফসল সব উপড়ে ফেলছিলেন। চোখের সামনে নিজেদের তৈরি করা ফসল নষ্ট হতে দেখতে বাধ্য করা হয় দলিত কৃষক দম্পতিকে। তাঁরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের পুলিশ নিগ্রহও করে। সেই ছবিই ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। এই ঘটনার পর কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন ওই দম্পতি।

ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একদল পুলিশ ওই দম্পতিকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তাঁদের ছেলে-মেয়ে চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে বাবা-মাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় পুলিশ। আত্মহত্যার চেষ্টা করা ৩৮ বছরের রাম কুমার আহিরকর ও ৩৫ বছরের সাবিত্রী দেবী হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন বলে জানা গিয়েছে।

সরকারের দাবি, যে জমিতে ওই দম্পতি ফসল ফলিয়েছে, সেটি সরকারের ৫.৫ একর জমির অংশ। রাম ও সাবত্রীর দাবি, তাঁরা বছরের পর বছর ধরে এই জমিতে ফসল ফলাচ্ছে। অথচ তাঁদের এই জমির জন্য মাত্র ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। সাবিত্রীর কথায়, ‘আমরা জানি না এটা কার জমি। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে এখানে চাষ করছে। আমাদের ফলানো ফসল যখন নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছিল, তখন আমাদের নিজেদের শেষ করা ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না।’

রাজ্য রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা পুলিশকে নিয়ে মঙ্গলবার জমি পরিদর্শনে যান। সেখানে সীমানা দিতে পাঁচিল দেওয়া শুরু করেন তাঁরা। ওই দম্পতি বাধা দিলে তখনই এই ঘটনা ঘটে। যে পুলিশকর্মীরা নিগ্রহ করেছেন, তাঁদের ক্লিনচিট দিয়ে কৃষক দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

https://twitter.com/RahulGandhi/status/1283611129730588672

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*