প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাতে’ উঠে এলো অযোধ্যা প্রসঙ্গ

Spread the love

অযোধ্যা মামলার রায়ে দেশের পরিস্থিতি যখন টালমাটাল তখন মানুষ দেখিয়েছিল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে কীভাবে একতা বজায় রাখতে হয়। দীপাবলিতে ‘মন কি বাত’-এর ৫৮তম পর্বে রাম জন্মভূমি প্রসঙ্গে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি আজকের অনুষ্ঠানে পর্যটন উৎসব নিয়েও দিলেন পরামর্শ। বললেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দীপাবলি উদযাপিত হয়। তাতে শুধু দেশবাসীই সামিল হন এমন নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন এতে অংশ নেন। বিশ্বে পর্যটন উৎসব খুব জনপ্রিয়। আমাদের এত উৎসব হয়। আমরাও তো ওই ধরনের উদ্যোগ নিতে পারি। আমাদের চেষ্টা করা উচিত। এতে অন্য দেশের, অন্য রাজ্যের মানুষদেরও সামিল করলে ভালো।

গত মাসেই ‘মন কি বাত-এ অন্যরকম দীপাবলি পালনের কথা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। গতমাসে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ভারতীয় সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা মেয়েদের সম্মান জানাতে ‘ভারত কি লক্ষ্মী’ নামে একটি প্রচারের ডাক দেন তিনি ৷ শনিবার সেই প্রসঙ্গ তুলেই বলেন, আমি বলেছিলাম এ বছর দীপাবলি আমরা একটু অন্যরকমভাবে পালন করবো। এই দীপাবলিতে আমরা ভারতীয় মহিলাদের সাফল্য উদযাপন করব। আমরা নারী শক্তিদের নিয়ে এই দীপাবলি পালন করবো। দীপাবলি নারীশক্তিকে উৎসর্গ করবো। ভারতের লক্ষ্মীদের সম্মান করি আসুন সকলে।

নতমস্তকে গুরু নানককে প্রমাণ জানিয়ে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল নিয়ে বক্তব্য রাখেন। ৩১ অক্টোবর জাতীয় ঐক্য দিবস পালন ও তার তাৎপর্য নিয়ে বলেন, আমার মনে হয় ৩১ অক্টোবরের বিশেষত্ব সকলের মনে আছে। এই দিনটি লৌহমানবের জন্মজয়ন্তী। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের আদলে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি। আমরা এই দিনটি স্ট্যাচু অফ হিউমানিটিকে উৎসর্গ করি। রোজ ৭ থেকে ৮ হাজার লোক ওই মূর্তি দেখতে যান। তার মানে এত মানুষ ওঁকে ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন। আর এত লোক আসায় রাজ্যের পর্যটন শিল্পে উন্নতি হচ্ছে। ব্যবসায়িক স্বার্থও এতে জড়িয়ে রয়েছে। এর পাশাপাশি অনেকেই যাঁরা পড়াশোনা করছেন বা বিষয়টি জানেন না তাঁরা এই মূর্তি দেখে বল্লভভাই প্যাটেল সম্পর্কে জানতে পারেন।

দেশের ঐক্য এবং সার্বভৌমত্ব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের সকলের মনে আছে যখন এলাহাবাদ আদালত রাম জন্মভূমির রায় দেয় ২০১০ সালে। তখন গোটা দেশের কী পরিস্থিতি হয়েছিল। সমস্ত স্বার্থান্বেষী দল নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। চারিদিকে অশান্তির পরিবেশ। সেসময় অনেক চেষ্টা হয় সমাজে এই ধরনের বিষয়গুলি দমন করার। কিন্তু তাতে অনেকটাই বেগ পেতে হয়। বিভিন্ন বক্তার গলায় সে সময় যে ধরনের উগ্রতা দেখা গেছিল সেটা আমার এখনও মনে আছে। কিন্তু দেশবাসী যেভাবে এই বিষয়গুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে দমন করতে সচেষ্ট হয়েছিল তা থেকে এটাই বোঝা যায় দেশের মানুষের মধ্যে কতোটা শক্তি রয়েছে।

দেশকে সুস্থ রাখতে রান ফর ইউনিটির সঙ্গেই ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্ট প্রসঙ্গে বলেন, এরপর দিল্লি-সহ দেশের প্রায় রাজ্য পাঁচ বছর ধরে “রান ফর ইউনিটি”-তে দেশের অনেকেই অংশগ্রহণ করছে। আজকাল মানুষের মধ্যে ম্যারাথন দৌড় ব্যাপারটি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এক্ষেত্রেও তাই। আর “রান ফর ইউনিটি” শুধু ঐক্যের জন্য নয়, ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টও এর সঙ্গে জড়িয়ে। তাই ৩১ তারিখ আমাদের কাছে শুধু ঐক্যের নয়। দেশেবাসীর ফিট থাকারও।

শুনুন!

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*