রোজদিন ডেস্ক :- দেশজুড়ে সাড়া ফেলে দেওয়া নেট কেলেঙ্কারির তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হল সিবিআই। ইউজিসি নেটের প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে তল্লাশি করতে রবিবার বিহারে যায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেখানেই তদন্তকারীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ যেন সন্দেশখালি ঘটনার পুনরাবৃত্তি। নেট-এর প্রশ্ন ফাঁসের তদন্তে গিয়ে বিহারের নওয়াদায় এক গ্রামে গিয়ে মার খেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাদের ঘিরে ধরে মারধর, গাড়ি ভাঙচুর করে গ্রামবাসীরা। রটিয়ে দেওয়া হয় ভুয়ো সিবিআই অফিসার সেজে গ্রামে ঢুকে অশান্তি করা হচ্ছে। এতেই তেতে ওঠে কাসিয়াড়ি গ্রামের মানুষজন। এলাকার পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রথমে বচসা-গালিগালাজ, তারপর সেখান থেকে ধাক্কাধাক্কি, এমনকি তদন্তকারীদের শার্ট ছিড়ে ফেলারও অভিযোগ ওঠে ওই গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে আসা গাড়ির এক চালককে মারধর করা হয়। পরে রাজৌলি থানায় খবর দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী আনানো হয়। তারপর কোনও মতে গ্রাম থেকে বেরোতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআইয়ের উপরে ওই হামলা নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, সিবিআইকে আর কেউ বিশ্বাস করে না। আমরা বারবার বলছি সিবিআই বিজেপির একটি শাখা সংগঠনের পরিণত হয়েছে। সিবিআই বিজেপির লোকজনকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেবে এটা কখনও সম্ভব নয়। যে পাহাড়প্রমাণ শিক্ষা দুর্নীতি হয়েছে তা সিবিআই তদন্তে সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। তাই গ্রামের মানুষের এই প্রতিবাদ।
হামলা নিয়ে সিপিএম নেতা ও বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এই হামলা হবে কারণ অভিযুক্তদের সঙ্গে হয়তো বিজেপির যোগাযোগ আছে। অথবা আরএসএসের কর্মীও হতে পারেন। তারা হয়তো চান না তদন্ত হোক। গ্রামবাসীদের উত্তেজিত করে দেওয়া সহজ। এর মধ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস। পশ্চিমবঙ্গে যা হয়েছে তা এবার হচ্ছে বিহারে। এবার সর্বত্র এটা দেখা যাবে।
Be the first to comment