অমৃতা ঘোষ (২৪ জুলাই) :-
হাতে গোনা আর মাত্র ৭৫ দিনের অপেক্ষা। মায়ের আগমনের দিন আসছে ঘনিয়ে।
তাই এরই মধ্যে গতকাল ইনডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে প্রাক-পূজা বৈঠক সেরে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানেই তিনি পুজো-সংক্রান্ত সমস্ত সাবধানতা ও সচেতনতার কথা খতিয়ে ব্যাখ্যা করেন। তা করতে গিয়েই উল্লেখ করেন, পুজো উপলক্ষে এমন কিছু করা যাবে না যাতে বড় বড় পূজো মণ্ডপ গুলিতে মানুষের প্রবল ভিড় হয় এবং মানুষ বিপদে পড়ে। এ কথা বলতে বলতেই তিনি উল্লেখ করেন, সুজিত বসুর শ্রীভূমির পুজোর জন্য এয়ারপোর্টের রাস্তা পুরো জ্যাম হয়ে যায়। এর আগেও শ্রীভূমির দূর্গাপুজোর ভিড় নিয়ে অভিযোগের পাহাড় গত কয়েক বছর ধরেও এসেছে। শহরের অন্য প্রান্ত থেকে ওই পথ দিয়ে যদি কেউ এয়ারপোর্ট পৌঁছতে চান পুজোর সময়ে তাহলে তাঁর ফ্লাইট মিস হওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা। উল্টোডাঙা থেকে শুরু করে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত পথ, কয়েক ঘণ্টাও অবরুদ্ধ হয়েছে, গত বছর পুজোয়। এবার এই নিয়ে আগে থেকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তিনি সেই উদাহরণ টেনে বলেন, উত্তর কলকাতার কিছু বিশেষ বিশেষ পুজোর ক্ষেত্রেও এমনটা হয়ে থাকে। তাই জনসাধারণের মধ্যেও সমস্যার অন্ত থাকে না। এরকম সমস্যা তৈরি হলে, সংশ্লিষ্ট পুজোগুলিকে ‘ব্ল্যাকলিস্টেড’ করে দেওয়া হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি দূর্গাপূজা নিয়ে নিজের উৎসাহ ও ভূমিকা ব্যক্ত করে বলেন, ” মহালয়ার আগে থেকে আমিই পুজোগুলো উদ্বোধন করে দিই, সকলে বেরিয়ে পড়েন। আনন্দ করেন। আমাদের এখানে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। একটা সমন্বয়ের মিলনক্ষেত্র এই পুজো। আমরা বড়দিন থেকে ছটপুজো- সবেতে ছুটিও দিই। এখন পুজোর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বাংলাতেই এবার ৪৩ হাজারের বেশি পুজো হচ্ছে ক্লাব কমিটিগুলির তরফে। এবার একটু আগে পুজো, তাই আগে মিটিং করছি। পুজোয় যাতে কোনও অঘটন না ঘটে, সরকার সহযোগিতা করবে। ক্লাবগুলির কাছেও সহযোগিতা আশা করি। পুলিশ যেন শহর থেকে গ্রাম নজর রাখে, ট্রাফিক মুভমেন্ট যাতে ঠিক থাকে। জেলাগুলোতেও বড় বড় পুজো হয়। সমন্বয় করতে হবে ঠিকমতো।”
Be the first to comment