প্রাদেশিকতার আগুন জ্বালাচ্ছে তৃণমূল, যা সাম্প্রদায়িকতার থেকেও ক্ষতিকরঃ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

Spread the love

বাঙালি ও বহিরাগতের তত্ত্ব দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার থেকেও বড় আগুন জ্বালাচ্ছে তৃণমূল। সেটা হল প্রাদেশিকতার আগুন। বারুইপুরের সভায় এভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কেন্দ্রে ও রাজ্যে একই দলের ডবল ইঞ্জিন সরকার এনে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনি। বারুইপুরের যোগদান সভায় মঙ্গলবারও রাজীব ছিলেন যথেষ্ট চাঁছাছোলা। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেছেন, মানুষের স্বার্থে কাজ করি, তাহলে মানুষের সঙ্গে কেন বেইমানি? তাহলে তো কেন্দ্রের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে মানুষের জন্য যাতে টাকা আনা যায়, সেই ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। কেন্দ্রের টাকা না নিয়ে রাজ্যের কোষাগার ফাঁকা করে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন্দ্রের সঙ্গে ঝগড়া করে কৃষকদের প্রকল্প, আয়ুষ্মান প্রকল্প আনতে দিল না ওরা।

এদিন বারুইপুরের সভায় যাওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের কালো পতাকা দেখিয়েছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা । এই ঘটনার উল্লেখ করে রাজীববাবু বলেন, এটাই প্রমাণ করে দেয় তৃণমূল কতটা দেউলিয়া । তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। এতে বোঝা যায় ওদের রাজনৈতিক শিষ্টাচার আর বাকি নেই । মানুষ পছন্দের দল করতেই পারেন, সভা করতেই পারেন।

পাশাপাশি এদিন ফের রাজ্যে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজীব। তাঁর দাবি, বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রথম কাজ হবে বেকার যুবক-যুবতিদের স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। বেকারদের চাকরি দিতে হলে শিল্প ছাড়া কোনও উপায় নেই। এদিন ১০০ দিনের কাজে বাংলার সাফল্যকেও কটাক্ষ করেছেন রাজীববাবু । তাঁর মতে, ওরা বলে ১০০ দিনের কাজে বাংলা এক নম্বর। এটা আমি ভাবি ব্যর্থতা, কাজ দিতে পারেননি বলেই গাধার খাটনি খাটতে হচ্ছে সবাইকে। তাই এ বার নতুন বাংলা গড়ার চিন্তাভাবনা করতে হবে।

বিজেপির কেন্দ্রীয় কোনও নেতা রাজ্যে এলেই বহিরাগত বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস । তার জবাব দিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওরা বাঙালিদের বলছে । বাংলার মানুষ এটা মেনে নেবে? প্রাদেশিকতার আগুন ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভারতবাসী তো বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যে বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িকতার থেকেও বড় আগুন আপনি জ্বালাচ্ছেন। যে বাঙালি বাইরে কাজ করতে গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে এই ব্যবহার হলে তো দেশজুড়ে আগুন জ্বলে যাবে।

এদিনের সভায় ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার-সহ ১৩৫ জন যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁদের হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেন মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*