প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে আজ রোড শো করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়..

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- বেলেঘাটায় উত্তর কোলকাতার তৃণমুলের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে রোড শো করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। গান্ধী ভবন থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। বাগমারি বাজার পেরিয়ে শোভা যাত্রা এগিয়ে চলে। মানিকতলা মোড় পর্যন্ত চলে শোভা যাত্রা।প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে এই শোভা যাত্রায়। মুখ্য মন্ত্রী নিজে পা মেলালেন এই শোভা যাত্রাতে, তৃনমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে। সঙ্গে ছিলেন শশী পাঁজা, স্বর্ণ কমল সাহা এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃষ্টি কমতেই সোমবার পূর্বসূচি মোতায়েক উত্তর কলকাতায় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর যোগ দেন রোড শোয়ে। বেলেঘাটা গান্ধীমূর্তি থেকে শুরু করেন পদযাত্রা। শুরুতেই তিনি বাজান ‘মৃত্যুঘণ্টা’। এবার তাঁর এই প্রতীকী ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বিজেপির জন্য। ঘণ্টায় লেখা ছিল বিজেপি। শোনা যায়, এই ‘মৃত্যুঘণ্টা’র নেপথ্যে পরেশ পাল। যা একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। অনেকেরই দাবি, বিজেপির পাশাপাশি দলের একাংশকেও বার্তা দিতে চেয়েছেন দলনেত্রী। বুঝিয়ে দিলেন, কাজ করতে হবে জোট বেঁধে। এ বিষয়ে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, “উনি রাজ্যটাকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। মানুষ এবার তৃণমূলের অপশাসনের অবসান ঘটাতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সেটা বুঝতে পারছেন। সেই কারণেই তিনি নিজের হাতে ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজিয়ে দিলেন।”
প্রসঙ্গত, ৩২ বছর আগে, ব্রিগেড ময়দানে বামেদের ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তা তৈরি করেছিলেন পরেশ পাল। তার পরও বহুবছর বাংলাকে শাসন করেছে বামেরা। ২০১১ সালে অবশেষে ক্ষমতাচ্যুত হয় লালপার্টি। ৩২ বছর পর এবার বিজেপিকে সরাতে প্রতীকী ‘মৃত্যঘণ্টা’ বাজালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভা নির্বাচন এখন শেষ পর্যায়ে। আগামী শনিবার সপ্তম তথা শেষ ভোট হবে কলকাতায়। উত্তর কলকাতায় এবারও তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যয়। তাঁর সমর্থনে বড়বাজারে সভা করলেন তৃণমূলনেত্রী।
এদিকে তৃণমূলের পুরনো সৈনিক, মমতার দীর্ঘদিনের সঙ্গী তাপস রায় এখন বিজেপিতে। সুদীপের বিরুদ্ধে তাঁকেই প্রার্থী করেছে গেরুয়াশিবির। কংগ্রেসের হয়ে লড়ছেন প্রদীপ ভট্টচার্য। মমতা বলেন, ‘কংগ্রেস যাকে প্রার্থী করেছে, সে তো ঠিকমতো হাঁটতেই পারে না। কী করবে! ভোট কাটাকাটি করবে। লাভ কী হবে! কংগ্রেসের কি আছে, কিছু নেই। সিপিএমের কি আছে, কিছু নেই’।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*