তিনি জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তাই তাঁর মৃত্যুতে প্রায় সব দলের প্রতিনিধিরা সমান শোকস্তব্ধ। ফুলের মালায় সকলের প্রিয় প্রিয়রঞ্জনকে শেষ শ্রদ্ধা জানান দলমত নির্বিশেষে সবাই। সাধারণ মানুষও সকাল থেকেই কলকাতায় প্রিয়দাকে শেষ দেখা দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন। তবে জনগনের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা যে কতটা তা মরদেহ কালিয়াগঞ্জে পৌঁছনো মাত্রই বোঝা গেল। হৃদয়ের আবেগ যেন কোনও বাধা মানছেনা। দীর্ঘক্ষন রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন অগনিত সাধারণ মানুষ। ছিলেন অসংখ্য কর্মী। বলাই বাহুল্য নেতারা তো ছিলেনই। প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর পৈতৃক বাড়ির সামনে জনসমুদ্র প্রমান করে মানুষের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কতটা ছিল। এরপর, স্থানীয় দলীয় দফতরে নিয়ে যাওয়া হয় শকট। এখানেও জনতার ভিড় উপচে পড়ে। এরপর শেষযাত্রা। বহু মানুষ সামিল শেষ যাত্রায়। চোখের জলে প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানানো। ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জের মাটি ছুঁতেই তাঁকে গান স্যালুট দেওয়া হয়। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য। বলা যায় প্রিয় যুগের অবসান। তবে সর্বত্রই যে স্লোগান উঠল, প্রিয়দা তোমায় ভুলছিনা, ভুলবোনা – সমুদ্র গর্জন বলল প্রিয়রঞ্জন অমর রহে। মানুষের মনের মনিকোঠায় প্রিয় চিরকাল প্রিয় হয়ে থাকবেন।
Be the first to comment