নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে তৈরি হওয়া অস্থিরতা নিয়ে আলোচনা করতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সোমবার দেখা করতে বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে। তবে রাজ্যপালের তলব সত্ত্বেও রাজভবনমুখো হননি পুলিশ ও প্রশাসনের দুই কর্তা। তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেন রাজ্যপাল। তবে মুখ্যমন্ত্রী নন, জানা গিয়েছিল, মুখ্যসচিব ও ডিজি-ই দেখা করতে যাচ্ছেন ধনখড়ের সঙ্গে। মঙ্গলবার তাঁরা রাজভবনে যাবেন বলে খবর আসে। তবে আচমকা সেই সিদ্ধান্ত বদলে যায়। মাঝপথ থেকে ফিরে যান মুখ্যসচিব। শুধু ডিজি গিয়েছেন রাজভবনে।
মঙ্গলবার তাঁরা রাজভবনে যাবেন বলে খবর আসে। তবে আচমকা সেই সিদ্ধান্ত বদলে যায়। মাঝপথ থেকে ফিরে যান মুখ্যসচিব। শুধু ডিজি গিয়েছেন রাজভবনে। মঙ্গলবার রাজ্যপাল নিজেই টুইট করে জানিয়েছিলেন, সোমবার রাতে তাঁর দফতরে চিঠি পাঠিয়ে ডিজি ও মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এ দিন দ্বিতীয়ার্ধে রাজভবনে যাবেন তাঁরা।
এদিন সকালে নবান্নে বৈঠকে বসেন শীর্ষ আধিকারিকরা। ডিজি, এডিজি আইনশৃঙ্খলা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা-সহ একাধিক আধিকারিক সেই বৈঠকে ছিলেন। বৈঠকের পরই ডিজি এবং মুখ্যসচিবের রাজভবনে যাওয়ার কথা ছিল। সূত্রের মারফত্ খবর, তাঁরা বেরিয়েছিলেন রাজভবনের উদ্দেশে। কিন্তু মাঝপথ থেকে ফিরে যান মুখ্যসচিব। তবে তাঁর ফিরে যাওয়ার কারণ স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
সোমবার সকাল ১০টায় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রাজভবনে। রবিবার রাতেই জানা গিয়েছিল, রাজ্যের প্রশাসনিক দুই শীর্ষ কর্তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান। ওই সময়েই অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন, আদৌ এই দুই কর্তা রাজ্যপালের ডাকে সেখানে যাবেন কিনা। কিন্তু আজ তাঁরা যাননি। ফলে ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সোমবার ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রীকেও। তাঁর আক্ষেপ, রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে কোনও প্রশাসনিক কর্তা তাঁকে তথ্য দিতে চাইছেন না। এই কারণে তিনি ব্যথিত।
ধনকড় বলেন, আমি হতবাক যে, অনুরোধ করা সত্ত্বেও না এলেন মুখ্যসচিব, না এলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি! তিনি আরও লেখেন, এই রকম সংকটজনক পরিস্থিতিতে এটা মেনে নেওয়া যায় না।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাজ্যে বিক্ষোভের জন্য আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে দায়ী করেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর CAA বিরোধী বিজ্ঞাপন নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। এই ইস্যুতে মমতাকে মিছিল করতে নিষেধ করেন ধনখড়। মমতাকে এই কর্মসুচি বাতিল করতে বলে ট্যুইট করেছেন রাজ্যপাল। তিনি তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে লিখেছেন, আমি খুবই উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা দেশের আইন CAA-র বিরুদ্ধে মিছিল করবেন। এটা সংবিধান বিরোধী। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই অসাংবিধানিক ও উত্তেজক কাজ না-করার জন্য বলছি মুখ্যমন্ত্রীকে। বরং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করুন।
Be the first to comment