বর্ষাকাল এসে গিয়েছে। বর্ষা মানেই প্রচুর মজা আর খিচুড়ি সহ ইলিশ মাছ। এর পাশাপাশি বর্ষায় কিন্তু সমস্যায় কম নয়। রাস্তাঘাটে প্রচন্ড কাদা হয়,আর আমরা যখন রাস্তায় বেড়োই সেই কাদা আমাদের জামাকাপড়ে ছিটকাবেই। এই সমস্যায় তাদের পরতেই হয় যারা নিত্যদিনে রাস্তায় বের হয়। এই সমস্যা গুলির সমাধান নিশ্চয়ই আছে। একটু যদি বুদ্ধি খাটিয়ে নেওয়া যায়,অর্থাৎ অন্যকালের তুলনায় যদি বর্ষাকালে একটু নিজেকে স্মার্ট করে নিতে হবে বেশি মাত্রায় তাহলেই এই সমস্যার সমাধান ঘটবে।আজ সে উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করব…..
১) প্রথমেই আসি বর্ষায় আপনি নিজেকে কাদার হাত থেকে কিভাবে রক্ষা করবেন…
প্রথমেই বলি পোশাকের কথা। আমরা সাধারণত জিন্স পরি বা সালোয়ার পরি না কেন বর্ষাকালে যদি পা ঢাকা জামাকাপড় এড়িয়ে যাই যাওয়া যায় তাহলে আর কাদা ছিটকানোর ভয় থাকে না।আর একটা গুরুত্বপূর্ণ টিপস যদি আপনাকে অন্য কোনো জামা কাপড় পরতে হয় তাহলে লোয়ার অংশটা একরঙা না হয়ে প্রিন্টেড হলে ভালো হয়,তাহলে বেশ কালারফুল হয় আর কাদা লাগলেও সেটা বোঝা কম হয়।
২) এতো গেল কাদা থেকে নিজেকে কিভাবে বাঁচাবেন। এবার আসা যাক বৃষ্টিতে ভিজে গেলে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে কিভাবে বাঁচবেন। বর্ষায় যদি একটু ঢিলে জামাকাপড় পড়েন তাহলে আপনি বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও জামাটি আপনার শরীরের সাথে লেগে থাকবেনা আর আপনার ঠান্ডা লাগার চান্স কম হবে। বর্ষাকালে সুতির জামাকাপড়ের পরিবর্তে যদি একটু সিনথেটিক,সিফন,অর্থাৎ যেগুলি জল ধরে রাখবেনা এরকম ফেবরিক পরলে আপনি ঠান্ডা লাগার হাত থেকে অনেক অংশে বাঁচতে পারবেন।
৩) রেনকোট ব্যবহার করতে পারেন। তবে ভারী কাপড়ের রেনকোটের পরিবর্তে হালকা কাপড়ের বা প্লাস্টিকের রেনকোট ব্যবহার করুন।
৪)এবারের টিপটি স্পেশালই মহিলাদের জন্য। ওনারা গলায় বিভিন্ন ধরনের, মেটিরিয়ালের হার পরে থাকেন। তার মধ্যে পুঁথির হার পরলে সেটি বৃষ্টির জলে নষ্ট হয়ে যায়, এমনকি ত্বকের ও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই এইসব হারের পরিবর্তে আপনারা রঙবেরঙের স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন। এটা বেশ স্টাইলিস ও হল, আর অসময়ে বৃষ্টির কবলে পড়লে আপনারা এটা দিয়ে মাথায় ঢেকে নিতে পারবেন বা মুছে নিতে পারবেন।
৫) বর্ষাকালে আরও এক বড়ো সমস্যা হল জুতোর সমস্যা। চামড়ার তৈরি জুতো কিন্তু একেবারেই বাদ দিতে হবে। এর পরিবর্তে রঙিন ফ্লিপফ্লপ পরতে পারেন। রঙিন বলছি একারনে কারণ সাদা পড়লে সেটিতে কাদা লেগলে আপনার পায়ের সৌন্দর্য্য নষ্ট করবে।আর এইরকম জুতো পড়লে বাড়ি ফিরে আপনি অনায়াসে সেটিকে ধুতে পারবেন।
৬) ” ঘড়ি “ও ” মোবাইল”। আমরা মেটালের যে ঘড়িগুলো ব্যবহার করি সেটা জল পড়লে নষ্ট হতেই পারে।সেইজন্য ওয়াটারপ্রুফ ঘড়ি ব্যবহার করতে হবে। এবার আসি মোবাইল, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ আামাদের। তাই এটার যত্ন নিতে হবেই।মোবাইল যদি ওয়াটারপ্রুফ হয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই কিন্তু যদি তা না হয় তাহলে অবশ্যই ওয়াটারপ্রুফ প্যাকেটের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।
৭. এবারে আসি খাওয়া দাওয়ার কথায়। খাওয়ার বিষয়ে সাবধান হতে হবে। বেশি স্পাইসি খাওয়ার খাওয়া যাবে না। কারণ আর্দ্রতা হজমশক্তি কমিয়ে দেয়। সেকারনে সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। বেশি পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে, তবে সেগুলি খুব ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে। একসঙ্গে এই সময়ে তেতো জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে, যেমন- নিমপাতা,করলা,উচ্ছে খেতে পারেন। আর ক্যাফিন জাতীয় খাবার যেমন চা(তবে হার্বাল চা খেতেই পারেন),কফি কম খেতে হবে কারণ এগুলোর জন্য আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি হয়। এরপরিবর্তে জল খেতে হবে বেশি করে।
Be the first to comment