বাংলায় প্রচারে এসে মমতা – অভিষেককে নিশানা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- চলতি বছরই ২২শে জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে ভগবান শ্রী রাম চন্দ্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে।দেশ বিদেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ এই মহা আড়ম্বরে যোগ দিয়েছিলেন। এদেশের অন্যান্য রাজনীতিকদের মতো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সেই অনুষ্ঠানে আসার জন্য।কিন্তু তৃণমূল নেত্রী যাবেন না বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিললেন। উল্টে ওইদিন কলকাতার রাজপথে মেগা সংহতি মিছিলে হাঁটেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই নিয়েই বাংলায় প্রচারে এসে মমতা-অভিষেককে নিশানা বানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্গে তাঁরা কেন রামমন্দির উদ্বোধনে যাননি, সেই কারণও ব্যাখ্যা করলেন অমিত শাহ। তৃতীয় দফা ভোটের আগে মঙ্গলবার বাংলায় প্রচারে এসেছিলেন অমিত শাহ। পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে মেমারিতে সভা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আক্রমণ করেন তিনি। তবে এদিন অভিষেকের নাম একবারও নেননি অমিত শাহ।
মমতা এবং অভিষেকের রামমন্দির উদ্বোধনে না যাওয়া নিয়ে তিনি তাদের কটাক্ষ করে অনেক কিছুই বলেন। তিনি বলেন, “মমতা দিদি ও ভাইপোকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু অনুপ্রবেশকারীদের ভয়েই তাঁরা রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন যাননি।” একইসঙ্গে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলার ‘ভবিষৎ মুখ্যমন্ত্রী’ হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করেছে মোদী সরকার। তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরোধিতা করেও সুর চড়াও করেন মোদী। তাঁর মতে, “এবার মমতা-অভিষেকের বিদায় নেওয়ার পালা।”

শুধু রামমন্দির কিংবা সিএএ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতার প্রসঙ্গ তুলে অমিত শাহ বলেন, “বাংলার মানুষও চায় কাশ্মীরে ভারতের পতাকা উড়ুক। তাই মমতা দিদি আপনার না চাওয়াতে কিছু যায় আসে না।”
বিজেপির আর পাঁচটা নির্বাচনী প্রচারের মতোই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী কী কী কাজ করেছেন এদিন সেসব বিস্তারিত তুলে ধরেন অমিত শাহ। বিনামূল্যে রেশনে চাল দেওয়া থেকে শুরু করে ১২ লক্ষ মানুষের ঘরে শৌচালয় তৈরি, ৪ কোটি মানুষের বাড়ি তৈরি, ১০ কোটি মানুষের কাছে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া, সবই মোদীর জন্য সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান। সঙ্গে তিনি দাবি করেন বাংলার সাধারণ জনগণ এর সমক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীর সর্বকল্যান মূলক কাজকে পৌঁছতে দেন না। অমিত শাহের কথায়, “আগামী দিনে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করুন। তবেই বাংলার মানুষও আয়ুস্মান প্রকল্প সহ একাধিক সুবিধা পাবেন।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*