বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসয়েন্সে যান। জানা গিয়েছে, সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাংবাদিকের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবরও নেন।
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে বাইক নিয়ে রাতে ফিরছিলেন ওই দুই সাংবাদিক। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভবত গাছের সঙ্গে ধাক্কা মারে তাঁদের বাইকটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান দু’জনই। একটি অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার কয়েকজন কর্মীর নজরে আসে সেই ঘটনা। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসে ওই দুই সাংবাদিককে তুলে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা এক সাংবাদিক সোহমের মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা জানিয়ে দেন। অন্যজন অর্থাৎ ময়ূখ রঞ্জনকে SSKM-এর সিসিইউতে রাখা হয়।
চিকিৎসকরা জানান মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছেন ময়ূখ। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। কিন্তু ক্রমশ বিপদ কাটিয়ে উঠেছেন তিনি। এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। তবে তাঁর একটা চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
সূত্রের খবর, সেদিন রাতে ময়ূখের বাড়িতে গিয়েছিলেন সোহম। রাতে ময়ূখের বাড়িতেই থাকার কথা ছিল। এরপর রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ইমন কল্যাণ লাহিড়ি নামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বাড়িতে যান তাঁরা। ফেরার পথে রাত সাড়ে ৩টে -৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বলরাম মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে। ঘটনা খতিয়ে দেখছে লেক থানার পুলিস।
প্রসঙ্গত সদ্য নতুন চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন এই দুই সংবাদিক। সাংবাদিক মহলে ময়ূখ রঞ্জন বেশ পরিচিত মুখ। নেট দুনিয়ায় তাঁর লেখনির ভক্ত অনেক। তাঁর দুর্ঘটনার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রার্থনা শুরু করেছেন অগণিত মানুষ। সদ্য শহরে ফিরেছিলেন ময়ূখ। সোহমও দীর্ঘদিন কাজ করছেন এই পেশায়।
Be the first to comment