চিরন্তন ব্যানার্জি (২৪ জুলাই) :- তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেটকে ‘কুরসি বাঁচাও’, ‘নকলচি’ বাজেট বলে আগেই কটাক্ষ করেছে বিরোধী শিবির। এবার সেই ‘বৈষম্যে’র ভরপুর বাজেটের প্রতিবাদও হচ্ছে। মোদি সরকারের এই বাজেটকে শরিক তোষণের অভিযোগ তুলে সংসদ অধিবেশনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অলআউট আক্রমণে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট। আর তারপরেই বাজেটের পরের দিন অর্থাৎ আজ সংসদের সদর দরজায় সকাল ১০’টা থেকে দফায় দফায় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকরা বিক্ষোভ দেখায়। ইন্ডিয়া জোটের শরিকেরা ছাড়াও অন্য দল এবং নির্দল সাংসদেরাও প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। কংগ্রেসের সাংসদ মনিকম টেগর দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বুধবারই সংসদে হাজির হয়ে বাজেট নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। এদিন দেখা যায় সংসদের বাইরে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে থেকে শুরু করে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র-সহ অন্যান্য সাংসদরা সামিল হয়েছেন বিক্ষোভে। খড়্গে বলেন, “এটি একটি ধ্বংসাত্মক বাজেট। এটি অন্যায়। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে।” তাঁর দাবি, বাজেটে একাধিক রাজ্যের সঙ্গে অবিচার হয়েছে। সেই রাজ্যগুলি যাতে নিজেদের প্রাপ্য পায়, সে কারণেই তাঁরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। বাংলা বিরোধী বাজেট মুর্দাবাদ বলে স্লোগান তুলতে দেখা যায় তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়কে।
এদিন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলার সময় বলেন, বিজেপির ফল খারাপ হওয়ায় কীভাবে দেশের বৃহত্তম রাজ্যটির প্রতি বঞ্চনা করা হয়েছে। আজ প্রতিবাদের অগ্রভাগে ছিলেন কংগ্রেসের কেরলের সাংসদেরা। পাশাপাশি কেরলের একমাত্র সিপিএম সাংসদকেও দেখা যায় কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে বাজেট বঞ্চনা নিয়ে সরব হতে।
Be the first to comment