বাংলার চিকিৎসা শাস্ত্রে নয়া নজির! ফের শহর কলকাতার এসএসকেএম স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নয়া দিশা দেখাল। হাওড়ার এক দিনমজুরের ব্রেন ডেথ আরও ৭ পরিবারে ফিরিয়ে দিল অনাবিল আনন্দ। এবার ব্রেন ডেথ হওয়া মানুষের দুটি হাত অন্য মানুষের দেহে বসল। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। তবে এই ঘটনা শুধু বিরল নয়, বাংলার চিকিৎসা বিজ্ঞানে এক বিপ্লব। পূর্ব ভারতে এমন ঘটনা এই প্রথম। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের এই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মানোন্নয়ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থা সাফল্যের শিখরে। তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, এর পিছনে চিকিৎসকদের নিরলস প্রচেষ্টা যথেষ্ট প্রশংসার দাবিদার। আর রাজ্যের এমন সাফল্যে খুশি হয়ে এবার টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএমের চিকিৎসক থেকে নার্সদের শুভেচ্ছা জানালেন। এদিন তিনি টুইটারে লেখেন, এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমি হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিনন্দন জানাই। আপনারা এমন কাজ করে আমাদের গর্বিত করেছেন।
গত ৯ জুলাই সন্ধেবেলা রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়েন হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া থানা এলাকার রাজপুর করাতবেড়িয়ার বাসিন্দা হরিপদ রানা। তাঁকে প্রথমে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসএকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। দুর্ঘটনার পর থেকেই অচৈতন্য ছিলেন ওই যুবক। ১৩ জুলাই রাতে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন যে, হরিপদর ব্রেন ডেথ হতে চলেছে। তারপরেই চিকিৎসকেরা হরিপদর পরিজনকে মরণোত্তর অঙ্গদান সম্পর্কে বোঝাতে শুরু করেন। সৌভাগ্যক্রমে হরিপদর রক্তের গ্রুপের সঙ্গেই প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে প্রায় এক বছর ধরে চিকিত্সা্ধীন এক যুবকের মিল পাওয়া যায়। বছর খানেক আগে বৈদ্যুতিক শকে ঝলসে গিয়েছিলেন বিরাটির বাসিন্দা ওই গ্রহীতা। তাঁর ডান হাতের কনুইয়ের নীচ থেকে বাদ দিতে হয়েছিল। শেষে হরিপদ’র হাত প্রতিস্থাপিত হয় ওই যুবকের দেহে।
Be the first to comment