মুজফফরপুরের পর এবার আরা। বিহারের এই শহরের এক জুভেনাইল হোমে তিনজন নাবালককে মারধর ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠল ওই হোমেরই আরও সাত নাবালকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে বুধবার। কাইমুর জেলা থেকে খুনের অভিযোগে ওই হোমে আসা দুই নাবালক কোর্টে শুনানি চলাকালীন বাড়ির লোককে জানায়, হোমের সাত নাবালক তাদের মারধর করে ও জোর করে যৌন নিপীড়ন করে। তাদের শরীরে মারের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সাত নাবালকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়ছে।
ভোজপুরের পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট অবকেশ কুমার জানিয়েছেন, ওই তিন নাবালককে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে একটু সময় লাগবে। যদি যৌন নিপীড়নের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে সেই ধারাগুলিও সাত নাবালকের বিরুদ্ধে যোগ করা হবে।
আরা শহরের এই জুভেনাইল হোমে পার্শ্ববর্তী ভোজপুর, কাইমুর ও আরও দুই জেলা থেকে নাবালক অপরাধীদের এনে রাখা হয়। অভিযুক্ত সাত নাবালকের ছবি ও হোমের ভেতরের ভিডিও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পরে। ওই সাত নাবালক এই খবর পাওয়া মাত্র হোমের ভেতর ভাঙচুর শুরু করে। কিন্তু সেখানকার কর্মচারীরা তাদের নিজেদের আয়ত্ত্বে নিয়ে আসে। তাদের আপাতত সবার থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই বিহারের মুজফফরপুরে এক হোমে নাবালিকাদের যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল হোমের মালিক ও কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে। তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর ফের নাবালকদের হোমে এই ধরণের যৌন নিপীড়নের ঘটনা সামনে এল। তবে এ বার অভিযুক্ত খোদ নাবালকরা।
Be the first to comment