ভবানীপুরে হারের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ তাই নন্দীগ্রাম থেকে ভোটের লড়াই করার কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তৃণমূলনেত্রীর মাস্টারস্ট্রোকের পরই এমন দাবি করল বিজেপি ৷ অনেকটা একই সুর আর এক বিরোধী দল সিপিএমেরও ৷
এ দিন নন্দীগ্রামের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, তিনিই নন্দীগ্রামে প্রার্থী হচ্ছেন ৷ মমতার এমন ঘোষণা প্রত্যাশা করেনি কেউই৷ নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন, মমতার এমন ঘোষণা রাজনৈতিক মহলের কাছেও অপ্রত্যাশিত ছিল ৷ এই ঘোষণা করে তৃণমূলনেত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে৷
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ তিনি বলেন, ‘ভবানীপুর জমি হারিয়ে উনি নন্দীগ্রামে প্রার্থী হচ্ছেন৷ ওনাকে নন্দীগ্রামেও হারাব ৷ যেখানে দাঁড়াবেন সেখানেই হারবেন ৷ ২৯৪ আসনেই কেন ওনাকে প্রার্থী হতে হবে? এতো আগেই হার স্বীকার করে নেওয়া৷ বিজেপি ২০০-র বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসবে ৷
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কো-ইনচার্জ অমিত মালব্য বলেন, নার্ভাস হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এক বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় বলেন, অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীই তো দু’টি কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েন৷ এতে কোনও অন্যায় দেখছি না৷ উনি তো নিশ্চিত করে বলেননি যে নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেনই৷ আগে ওনার দলের যিনি পরামর্শদাতা আছেন তাঁর সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানান৷ আর নন্দীগ্রামে জমির নেতা তো শুভেন্দু অধিকারী৷ ভবানীপুরে না লড়ে শুধু নন্দীগ্রামে সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে লড়তেন, তাহলে বুঝতাম উনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ২৯৪টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হন তাহলে নরেন্দ্র মোদীও ২৯৪ আসনে প্রার্থী ৷
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ভবানীপুরে উনি জিতবেন না ৷ সেটা বুঝতে পেরেছেন ৷ ২৯৪ আসনে কাকে কোথায় দাঁড় করালে জিতবে, তা ঠিক করতে পারলেন না। নিজে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করে দিচ্ছেন ৷ এ তো আগে থেকে স্বপরাজয় স্বীকার করে নিয়ে বিজেপি-কে বার্তা দেওয়া ৷
Be the first to comment