ঘুরে-ট্যুরে
বাগুড়ান জলপাই
ভাবছেন কোথায় যাবেন এই বর্ষায়? চলুন ঘুরে আসা যাক সমুদ্র সৈকতে।
আজ আমরা আপনাদের জানাবো বাগুড়ান জলপাইয়ের কথা। এখান থেকে আপনি যেতে পারবেন দীঘা তাজপুর, উদয়পুর, তালসারি, ভোগপুর, চাঁদপুর-শৌলা, বাঁকিপুট, জুনপুট, নীচকসবা, কাদুয়া,ভাগুড়ান, হরিপুর, পেটুয়াঘাট, বাহিরি, গোপালপুর প্রভৃতি জায়গায়। তবে এখান থেকে কিছু জায়গা কাছে হলেও বাকিগুলো খানিক দূরে তবে যাওয়া যাবে। আপনারা চাইলে যেতেই পারেন। মাছের আমদানি এই সময়ে খুব বেশি থাকে। তাই সমুদ্রের পাড়ে বসে বৃষ্টি ভিজে মাছ খান আর উপভোগ করুন সমুদ্রকে। উত্তর কাঁথি অর্থাৎ কন্টাই বা কাঁথি স্টেশনে নেমে ১৬ কিলোমিটার ভিতরে।
এইবার বলে রাখি যারা দীঘা, মন্দারমনি বা তাজপুরের মতো সমুদ্রের স্বাদ নিতে চান অথচ অতো হইচই পছন্দ নয় মানে একটু শান্ত নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য এই বাগুড়ান জলপাই হলো সেরা জায়গা। তবে এখানে একটিই মাত্র হোটেল পাবেন রাত কাটানোর জন্য, হোটেল সাগর নিরালা। কাঁথি স্টেশনে নেমে হোটেলে ফোন করলেই পাঠিয়ে দেবে গাড়ি। তবে ভুলেও সন্ধ্যা ৬ টার পর হলে কাঁথি স্টেশনে নেমে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের অপেক্ষা করবেননা। তখন আপনাকে ঐ হোটেলের গাড়ি বা পার্সোনাল গাড়ি ছাড়া উপায় নেই। কারণ সন্ধ্যার পর লোক সমাগম কম হওয়ায় গাড়ি পাওয়া সমস্যার, প্রায় থাকেনা বললেই চলে।
হোটেলের খোলা মাঠে দোলনা সারি সারি, অর্থাৎ অনায়াসে দোলায় শুয়ে দিন কাটাতে পারবেন৷ এছাড়াও এখানে তাঁবুর মতো রুম করা আছে, যা আপনাকে এক অন্য স্বাদ এনে দেবে। এখান থেকে সমুদ্র সৈকত যেতে পারবেন। সেখান থেকে ওয়াটার টাওয়ার, চাঁদপুর-শৌলা, বাঁকিপুট, জুনপুট, এমনকি হিজলী শরীফও ঘুরে ফিরতে পারেন।
কিভাবে যাবেনঃ হাওড়া থেকে দীঘা গামী যেকোনো ট্রেনে যাওয়ার পথে কাঁথিতে নেমে। ওখান থেকে গাড়ি পেয়ে যাবেন। তবে সন্ধ্যা ৬ টার পর নামলে পার্সোনাল গাড়ি বা হোটেলের গাড়ি বলে রাখতে হবে।
হোটেলঃ হোটেল সাগর নিরালা। (একটাই হোটেল এখানে)
ঘুরে আসুন, উপভোগ করুন।
Be the first to comment