মমতা দিদি এখন দেশের Iron Lady: লেশপাল

Spread the love

পিয়ালি:- লেশপাল লক্ষ্মী চান্দেও জাভালগে , ২৯ বছরের এক তরতাজা যুবক। পাঠক হয়তো ভাবতে পারেন হঠাৎ লেশপালের কথা লিখতে যাচ্ছি কেন?? কারণ আছে। ২০২৩ , ২৭ জুন এই তরুণ করে ফেলেন এক উল্লেখযোগ্য কাজ। ঘটনাটা এবার বিস্তারিত ভাবে বলা যাক।
মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা লেশ পাল ওইদিন সকাল ৯:৩০ মিনিটে স্টাডি রুমে যাচ্ছিলেন। রাজ্য সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ দেখেন একটি ছেলে কোয়েতা (ধারালো অস্ত্র) নিয়ে একটি মেয়ের পিছলে ছুটে যাচ্ছে। নিমিষের মধ্যেই মেয়েটির মাথায় কোপ দিতে যায় ওই ছেলেটি। কোনো রকমে মাথা বেঁচে যায় কিন্তু গলায় আঘাত লাগে। মেয়েটি তখন বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করেন। আশেপাশের লোকেরা কেউ বা এটা দেখে ভিডিও করছিলেন কেউ বা এনজয় করছিলেন আবার কেউ কেউ নিজেদের দোকান বন্ধ করে ওখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। প্রেমে প্রত্যাখ্যান করাতে ছেলেটি মেযেটির ওপর আক্রমণ চালায়। তখনি ছুটে আসে লেশপাল। আক্রমণকারী ছেলেটিকে ধরে ফেলে। যেসব লোকেরা এতক্ষণ মজা দেখছিল তখন তারা ছুটে এসে অপরাধীকে গণ পিটুনি দিতে থাকে। লেশপাল অপরাধী ছেলেটিকে বাঁচিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যান। এবং মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেন। লেশপালের সাথে কথা হচ্ছিল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। সারহাদ বলে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত লেশপাল। তারসঙ্গে বন্দেমাতরম বলে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট ও সে। কলকাতায় এসেছিল মহারাষ্ট্র ও বাংলার মৈত্রী অনুষ্ঠানে। অর্থাৎ ২ টি রাজ্যের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিল্প সাহিত্যের আদান প্রদান ঘটাতে। সেদিনের কথা বলতে গিয়ে শিউরে উঠছিল সে। মহারাষ্ট্রে এরম ঘটনা প্রায়শই ঘটে। দিল্লীতে সাক্ষীর ঘটনা ভাইরাল হয়েছে আপনারা সকলে জানেন। কিন্তু গত বছর জুন মাসে মহারাষ্ট্রে রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসার দর্শনা কে এরম ঘটনার বলি হতে হয়। লেশপাল বলে আমি একজনকে বাঁচাতে পেরেছি কিন্তু আমি চাই এইরকম ঘটনা পুনরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে। বেকারী, কাজ না থাকা এইসব সামাজিক সমস্যার ফলেই মানুষ অপরাধ কে বেছে নেয়। সারহাদ এর তরফ থেকে তারা ছেলে মেয়েদের গানবাজনা পড়াশোনা ইত্যাদি কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখে। লেশপালের এই সাহসিকতার কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
একনাথ শিন্ডে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ থেকে শারাদ পাওয়ার তাকে পুরস্কৃত করেন। রাহুল গান্ধী তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। লেসপাল কে জিজ্ঞেস করি দেশে মেয়েদের এখন কেমন অবস্থা।তখন তিনি বলেন ” ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ করলেই মহিলাদের সশক্তিকরণ হয় না। পঞ্চায়েতে মহিলারা অংশ গ্রহন করেন কিন্তু কাজ করেন তাদের স্বামীরা। অন্তত আমাদের রাজ্যে তো তাই দেখি। তাই পুরুষদেরও বদলানো দরকার। মহিলারা আমাদের ওপরে চলে গেলে আমদের ইগো তে লাগে। এইখানেই নিজেদের বদলানো দরকার। আর বাংলা এখানেই এগিয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যকলাপ দেখে আমরা মুগ্ধ বলেন লেশপাল। তিনি মহিলা পুরুষ ভেদাভেদ করেন না। মহিলা বলে অতিরিক্ত সুযোগ সুবিধাও চান না।বর্তমানে দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা দিদি মহিলা হিসাবে কোনো সুবিধা নিতে চান না। লেস পাল বলেন, মনে পড়ে যায় ইন্দিরা গান্ধীর কথা।দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যখন আমেরিকা গেছিলেন তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল স্যার সম্মোধন করব না ম্যাডাম , তিনি বলেন স্যার ই বলুন। ইন্দিরা গান্ধী কে বলা হতো Iron Lady। লেস পাল বলেন এখন মমতা দিদি দেশের Iron Lady।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*