মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই বগটুই-কান্ডে গ্রেফতার আনারুল

Spread the love

বগটুই-কান্ডে ধরা পড়লেন তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন। আনারুলের বিরুদ্ধেই প্রথম থেকে অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেও তাঁরা একই অভিযোগ করেন। আর তারপরই আনারুলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে। মমতা নির্দেশ দেওয়ার পরই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। পরে তাঁকে তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে বলেছিলেন, যেখান থেকে সম্ভব তুলে এনে গ্রেফতার করতে হবে আনারুলকে। সেই মতো পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গেলেও পাওয়া যায়নি আনারুলকে। গেটে তালা লাগানো ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আনারুল হোসেন কোথায় গা ঢাকা দিয়েছেন সেই খোঁজ শুরু হয়। পরে তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।

মমতা ডিজিকে বলেছিলেন, ‘আনারুল আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্ট। তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল ওরা। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই আনারুলকে গ্রেফতার করা হবে।’ কেন সময় মতো পুলিশ পাঠাননি আনারুল, সেই প্রশ্নও তোলেন মমতা। তিনি মনে করেন, সময় মতো পুলিশ পাঠালে হয়ত এই ঘটনা ঘটত না।

মমতার নির্দেশের পরই আনারুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল টিভি৯ বাংলার তরফে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। এই বলে ফোন রেখে দেন তিনি।’

তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। নৃশংস এই ‘হত্যাকান্ডে’ বৃহস্পতিবার থেকে বারবার তাঁর নাম উঠে এসেছে। স্থানীয়রা বলেছেন, আগুন লাগান হয়েছে তাঁর নির্দেশেই। তবে এই অভিযোগ শোনার পরও বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি তিনি। সাফ জানান, ওই সময় এলাকাতেই ছিলেন না তিনি। শুধু তাই নয়, শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন আনারুল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*