মহালয়ার দিন সন্ধ্যায় আছে বহু পুজোর উদ্বোধন। এর মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহালয়ার দিন সন্ধ্যাতে নিজের পাড়া কালীঘাট মিলন সংঘের মণ্ডপের দ্বারোদঘাটন করবেন। পাড়ার লোকেদের মতে, আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী, আমাদের সকলের প্রিয় দিদি। ক্লাবের সদস্যরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ার পুজো বলেই, আমাদের বিষয়বস্তু চয়নে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যায়। বর্তমান অশান্ত সময়ে সম্প্রীতি একমাত্র সমস্ত বিভেদ দূর করতে পারে। তাই দুর্গাপুজোর মণ্ডপ ও প্রতিমায় হাতের সূক্ষ্ম কাজে মৈত্রী, সম্প্রীতি এবং শান্তির কথা পরতে পরতে যেন লেখা আছে।
দেবীপক্ষের সূচনায় কালীঘাট মিলন সংঘে মায়ের চক্ষুদান সম্পন্ন হয়ে গেল। ৭৪ বছরে পদার্পণ করা এই পুজোর থিম ‘ধরার রীতি সম্প্রীতি’। আসলে মৈত্রী বা একসাথে থাকা এটাই আমাদের রাজ্য তথা দেশের ঐতিহ্য, পরম্পরা। সাম্প্রতিক কিছু অশুভ শক্তি এই পরম্পরার মূল ভিতে কুঠারাঘাত করছে। তাই ক্লাব কর্তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে যায় এর বিরুদ্ধে নিজেদের মত করে কিছু বলার। এই সদিচ্ছা থেকেই শান্তি এবং সম্প্রীতি—এই দুই বিষয়কে মূল ভিত্তি করে মণ্ডপ ও প্রতিমা সাজিয়েছেন কালীঘাট মিলন সংঘের সদস্যরা। এই পুজো কমিটির সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ক্লাব কমিটির সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। যুগ্ম-সম্পাদক সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও সত্যজিৎ দে, সাধারণ সম্পাদক সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়। মণ্ডপ এবং প্রতিমা সৃজনে সৌমিক ও পিয়ালী। পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো নিয়ে বললেন, শারদোৎসব আপামর বাঙালির মিলনোৎসব। আমরা চাই আরও দৃঢ় হোক আমাদের মানববন্ধন, ঐক্যের বন্ধন। মানবতার স্বার্থেই আমাদের অনেক থেকে এক হতে হবে।
Be the first to comment