প্রতীকী ছবি,
শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের বলে ৩৯ জন ছাত্রীকে ছাদের চড়া রোদে বসিয়ে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করলো স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ইন্দোরের একটি স্কুলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছে। নভলেখা এলাকার একটি স্কুলে সলামিয়া করিমিয়া গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সিট পড়েছিল। মোট ৪০ জন ছাত্রীর মধ্যে ৩৯ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের। আর ওই ৩৯ জনকে বেছে বেছে ছাদের চড়া রোদে বসে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পরীক্ষার পর সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অভিযোগে সরব হন ছাত্রীদের অভিভাবকরা। ওই স্কুলের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অভিভাবকরা।
তবে অভিযুক্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, যে ৩৯ জন ছাত্রীকে আলাদা করে ছাদে বসানো হয়েছিল তারা প্রত্যেকেই করোনা সংক্রমিত এলাকার। তাই সংক্রমণের ভয়ে তাদের আলাদা করে ছাদে বসানো হয়।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তা হলে ছাদে কেন তাদের জন্য ছায়া ঘেরা জায়গার ব্যবস্থা করা হল না! এই ব্যাপারে অভিযুক্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের দোষ মেনে নিয়েছে। তারা বলেছে, ছাত্রীদের খোলা ছাদে বসানো উচিত হয়নি। সঙ্গে আবার এমনও দাবি করা হয়েছে যে, ছাত্রীদের মাথার উপর ত্রিপল টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে অভিভাবকরা নাছোড়বান্দা। তাঁদের অভিযোগ, ওই ছাত্রীরা করোনা সংক্রমিত এলাকার নয়। নেহাত মুসলিম সম্প্রদায়ের বলেই এই বিভাজন করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Be the first to comment