রোজদিন ডেস্ক :- সদ্য অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের পর, তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে খুব একটা সন্তোষ প্রকাশ করতে পারেননি নাসিরউদ্দিন শাহ্।
দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নেই কোনও মুসলিম প্রতিনিধি। বিষয়টি নিয়ে খুব একটা অবাক হননি অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।
বলিউড অভিনেতা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘বিষয়টা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ার মতোই। কিন্তু কোনও ভাবেই আমায় অবাক করেনি। মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা এদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে।’’
প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির একটি উক্তি উল্লেখ করে বর্ষীয়ান অভিনেতা বলেন, ‘‘হামিদ আনসারি বলেছিলেন, দেশের মুসলিম নাগরিকদের মধ্যে এক ধরনের ভয় কাজ করে। আমাদের বুঝতে হবে যে, একা হিন্দু বা একা মুসলিম কিছুই করতে পারবে না। যা করার, আমাদের একসঙ্গে করতে হবে।’’
বরাবরই নিজের রাজনৈতিক মতামত স্পষ্ট প্রকাশ করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। টুপি পরার বিষয় নিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধেছেন অভিনেতা।বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রচারে গিয়ে বার বার মাথায় নানা ধরনের প্রাদেশিক মুকুট পরতে দেখা গিয়েছে মোদীকে। কখনও শিলং-এ গিয়ে সেখানকার আঞ্চলিক মুকুট পরেছেন। কখনও আবার হিমাচলপ্রদেশের গিয়ে সেখানকার টুপি পরতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
নরেন্দ্র মোদীর মাথায় একটি ‘স্কাল ক্যাপ’ পরা উচিত। এমন মন্তব্য করেছেন অভিনেতা। সাধারণত মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের এই ধরনের টুপি পরতে দেখা যায়। বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে সেখানকার আঞ্চলিক টুপি পরেন মোদী। কিন্তু ২০১১ সালে তাঁকে ‘স্কাল ক্যাপ’ পরতে বলা হলে, তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। এই বিষয়ে নাসিরুদ্দিন বলছেন, ‘‘মোদী বোধহয় বিভিন্ন মুকুট বা টুপি পরতে ভালবাসেন। ২০১১-য় মৌলবীরা ওঁকে একটি ‘স্কাল ক্যাপ’ পরার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। সেই স্মৃতি কখনওই ভুলতে পারব না।’’
কোনও এক দিন প্রধানমন্ত্রীকে এই বিশেষ টুপি পরা অবস্থায় দেখতে চান নাসিরুদ্দিন।অভিনেতার বক্তব্য, সেদিন যদি মোদী সেই টুপি পরতেন, তা হলে মুসলিমদের কাছে এই বার্তা যেত যে তিনি সকলের সঙ্গেই আছেন। প্রত্যেকেই একই দেশের নাগরিক।
Be the first to comment