রোজদিন ডেস্ক :- শেষ দফা নিবার্চনের আগে রবিবার ঢাকুরিয়ার সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “মিমি অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও কাজ করেনি তা নয়। যখন যা বলেছি করেছে। আমি ফোন করে বলেছিলাম অন্য কোথাও দাঁড়াতে। কারণ, যাদবপুরে নরম হলে চলবে না। সায়নী স্ট্রং মেয়ে । ও সব সামলাতে পারবে।”যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী বদলের কারণ জানিয়ে এ কথাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যাদবপুরে মিমিকে কেন বাদ দেওয়া হল তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রবল তরজা হয়েছে। এবার সায়নীর হয়ে সভা করে মিমিকে সরানোর কারণ জানালেন মমতা।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তালিকায় থাকা দুটি নাম নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছিল। মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহানকে কেন প্রার্থী করা হয়েছিল, তা নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। এবার তাঁদের কেউই প্রার্থী হননি। নুসরতের সঙ্গে আগে থেকেই দলের দূরত্ব বেড়েছিল। তিনি যে আর টিকিট পাবেন না, তা মোটামুটি জানাই ছিল তৃণমূল কর্মীদের একটা বড় অংশের। তবে মিমিকে নিয়ে একটু হলেও সংশয় ছিল। নির্বাচনের দামামা বাজার পর একদিন রাজ্য বিধানসভায় যান মিমি। মমতাকে জানিয়ে দেন রাজনীতি থেকে সরে যেতে চান। এরপর প্রার্থী হিসেবে যাদবপুর থেকে সায়নীর নাম ঘোষণা করা হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে ইস্তফা পাঠিয়েছিলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সেটা গত ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। মিমি সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছিলেন, সাধারণভাবে বলছি, আমি দলের কথা বলছি না। আজ পর্যন্ত বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। নিজের দলের বিরুদ্ধে কী বলব। কিন্তু এটাই বলব পরিষেবা দিতে গিয়ে যে বাধাগুলি পেয়েছি, বাধাগুলির কথা দিদিকে জানিয়েছি। দিদি স্টেপ নেবেন। বাকিটা সবই দিদির উপর। আমি হৃদয় থেকে বিশ্বাস করি আমি সৎ। আপনারা মিডিয়া বাকিটা আপনারা দেখতে পারেন।
মিমি জানিয়েছিলেন, রাজনীতি আমার জন্য নয়। এখানে( রাজনীতি) আমি একজন অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করি। আমার সমান দায়িত্ব রয়েছে। যদি আপনি রাজনীতিতে যোগ দেন, আপনি কাজ করুন অথবা না করুন আপনাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে। আমি এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছি। আমি একথাও বলতে চাই ২০২২ সালেও আমি এমপি পদ থেকে ইস্তফার ব্যাপারে তাঁকে বলেছিলাম। সেই সময় তিনি মানতে চাননি।…
তবে মমতা বললেন মিমি ভালো মেয়ে।
Be the first to comment