যা ঘটার শেষ তিন চার দিনে ঘটেছেঃ বাবুল সুপ্রিয়

সোমবার দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে

Spread the love

শনিবার মাস দুয়েকের মহানাটকের অবসনা ঘটলো। বিজেপির দীর্ঘ ইনিংস শেষ করে তৃণমূলে এলেন বাবুল সুপ্রিয়। রাজনীতির কক্ষ পথ ছেড়ে দিয়ে সমাজসেবার পেশা বেছে নেবেন বলেছিলেন। কিন্তু আদতে তা হল না, বাবুল থাকলেন রাজনীতির চৌহদ্দিতেই। কেন এই সিদ্ধান্ত, নিজেই ভাঙলেন বাবুল। জানালেন, “আসানসোলের সংসদ পথ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। আরও বললেন, যা ঘটার শেষ তিন চারদিনে দিনেই হয়েছে।”

বাবুলের কথায়, “রাজনীতি ছাড়বো হৃদয় থেকেই বলেছিলাম। আমি বাঙালি হিসেবে কাজ করতে চেয়েছিলাম। কথাটা আমার মন থেকেই ছিল। যা ঘটার শেষ তিন চার দিনে ঘটেছে। আমার মেয়ের স্কুলে ভর্তি নিয়ে কথা হয়। আমার রাজনীতির ছাড়া ভুল ছিল সবাই আমাকে বলেছিল।” বাবুল বলেন, তখনই আমি সিদ্ধান্ত বদল করি।

কেন হঠাৎ বিজেপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বাবুল? শনিবার এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সাত বছর ধরে যে কঠিন পরিশ্রম করছিলেন তাতে ফুলস্টপ পড়ে যাচ্ছিল। ধুলোয় মিশে যাচ্ছিল তাঁর সমস্ত পরিশ্রম। পাশাপাশি বিজেপির সাংসদ পদ কী ছেড়ে দেবেন বাবুল? এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাবুল বলেন, ‘রুলবুক অনুযায়ী কাজ করব।’ অর্থাৎ বিজেপির সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে পারেন তিনি, ইঙ্গিত দেন সাংসদ।

এই নতুন দায়িত্ব সম্পর্কে বাবুলের মত, “এটা আমার কাছে বড় অপরচুনিটি দল আমাকে দায়িত্ব দেবে। আমি নিজেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়ার চিঠি দিয়েছিলাম।” বাবুল সুপ্রিয় জানান, সোমবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে বাবুলকে লাগে না, তবে দল বললে যাবো।”

প্রসঙ্গত, ৩১ জুলাই বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেছিলেন, আলবিদা। তিনি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন রাজনীতির কক্ষ থেকে বিদায় নিতে চলেছেন। বিজেপি তাঁকে ভবানীপুরে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের প্রচারে ডাকলেও বাবুল তাতে উৎসাহ দেখাননি। এদিকে শুক্রবারে বাবুলের নিরাপত্তা কমিয়ে আনা হয় কেন্দ্রের তরফের। ২৪ ঘণ্টাও গেলো না। বাবুল চলে এলেন তৃণমূলে। রাজ্য বিজেপির সঙ্গে তাঁর কখনোই সুসম্পর্ক ছিল না। এখন নতুন জার্সিতে বাবুল কতটা মানিয়ে নেন, সেটাই দেখার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*