যেখানে যাই, সেখানেই পিসি, ভাইপোর ছবি। হাত জোর করে দাড়িয়ে আছেন। বাংলার মানুষ মমতাদিকে টাটা, নমস্তে বলার জন্য তৈরি হয়ে আছেন। মালদহ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা৷
এদিন জে পি নাড্ডা জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খোঁচা দেন। তিনি বলেন, ‘যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই জয় শ্রীরাম শুনতে পাচ্ছি। হেলিকপ্টারে আসার সময় যেদিকেন হাত নাড়ছি, শুধুই জয় শ্রীরাম শোনা গিয়েছে। মমতাজি জয় শ্রীরাম শুনলে এত রেগে যান কেন?’ প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে নেতাজি জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে মমতার বক্তব্যে বাধা তৈরি করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। তার পরে বক্তৃতা দেননি মমতা। এ বার সেই ঘটনাকে যে বিজেপি রাজ্যে নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে প্রচারের হাতিয়ার করতে চলেছে, তা শনিবার যেন স্পষ্ট করে দিলেন নড্ডা।
‘পিসি-ভাইপো’-র যুগলবন্দিতে বাংলার মানুষ কতটা বিরক্ত সেই দাবিও করেন জে পি নাড্ডা। তাঁর কথায়, ‘চারিদিকে শুধু পিসি-ভাইপোর হাতজোড় করা কাটআউট। বাংলার মানুষও এবার আপনাদের বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত মানুষের নিয়ে নিয়েছে।’একইসঙ্গে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন তিনি। জানতে চান, ‘চালচোর’, ‘ত্রিপল চোর’ কে? তাতে সভাস্থল থেকে উত্তর ভেসে আসে – ‘ভাইপো’।
এদিন মালদহে ‘সহভোজ’ কর্মসূচিতে মমতা সরকারকে ‘টা টা’ করার ডাক দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জন্য কী কী করেছে তার ফিরিস্তিও দেন নাড্ডা। বলেন, ‘‘মোদীজি ৬ হাজার টাকা প্রকল্পের মারফত দিয়েছিলেন। কৃষক সম্মাননিধি কেন্দ্র দিলেও, জেদের বশে তা নেননি মমতাদি। বাংলার ৭০ লাখ কৃষক বঞ্চিত হয়েছেন। ভোট এসে গিয়েছে, এখন আর আফশোস করে কোনও লাভ নেই।’’
নাড্ডার আক্রমণের পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। দলের নেত্রী দোলা সেন নাড্ডাকে কটাক্ষ করে বলেন, “তিনমাসের তো ব্যাপার৷ এই তিনটে মাস স্বপ্ন দেখুন৷ এরজন্য আপনাদের স্বাগত জানাই৷”
এদিন মালদহে নড্ডার কর্মসূচিতে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।
Be the first to comment