মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কিরণময় নন্দ। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থনের প্রস্তাব নিয়েই কালীঘাটের বাড়িতে আসেন অখিলেশের দূত। নির্বাচনে অংশ নেওয়া নাকি স্রেফ অখিলেশ যাদবকে সমর্থন? উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসের আগামীদিনের অবস্থানের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। তবে এদিন বৈঠকের পর কিরণময় নন্দ স্পষ্ট জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশে তৃণমূল নির্বাচনে অংশ নেবে না। তিনি সমাজপার্টি পার্টিকে সমর্থন জানাবেন। পাশাপাশি তিনি জানান, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মমতা ও অখিলেশের যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন এবং ভার্চুয়াল বৈঠক হবে লখনউতে। এছাড়া পরবর্তী সময়ে আরও একটি ভার্চুয়াল সভা হবে বেনারসে।
উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী শক্তিকে আরও জোরদার করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে চাইছেন অখিলেশ। অখিলেশের তরফে থেকে আগেই উত্তরপ্রদেশে আমন্ত্রণ জানানো হয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকের জন্যও তাঁর কাছে প্রস্তাব আসে। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগীরাজ্যে পাড়ি দেন কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল।সমাজবাদি পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের প্রতিনিধি কিরণময় নন্দ এদিন সেই প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত জানতেই কালীঘাটের বাড়িতে এসেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, মমতা-কিরণময়ের এই বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। এদিন দিলীপ বলেন, ‘সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আগেও বৈঠক করেছেন মমতা। তখনও লাভ হয়নি। এ বারও লাভ হবে না।’ অখিলেশ যাদবের সঙ্গে আগেই জোট ঘোষণা করেছেন শরদ পাওয়ার। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাওয়ার বলেন, ‘পরিবর্তন আসছে। আগামীদিনে বিজেপির মুখোশ খুলবে। উত্তরপ্রদেশের মানুষও পরিবর্তন আসবে।
এদিকে, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের একমাস আগে একের পর এক বিধায়কের ইস্তফায় বেশ কিছুটা চাপে যোগী শিবির। দলিত সম্প্রদায়ের নেতা এস পি ময়ুরা দল ছাড়ায় যোগী শিবিরে কার্যত ধস নেমেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে বিজেপি। ফলে এই মুহূর্তে সপা যে ভালো জায়গায় রয়েছে তা বলাবাহুল্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, স্বামী প্রসাদ মৌর্যের মাপের নেতা দলে যোগ দেওয়ায় সপার পাল্লা ভারী হয়েছে কারণ, তাঁর বিজেপি ছাড়ার তিন দিনের মধ্যে একই যুক্তি দেখিয়ে আট জন নেতা যোগী শিবির ছেড়েছেন।
Be the first to comment