গত রবিবার হরিদেবপুরে বাতিস্তম্ভে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিল ১৪ বছরের কিশোর নিশীথ যাদব৷ ছ’দিনের মাথায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি৷ এবার রাজাবাজারের নারকেলডাঙা থানা এলাকায়৷ গত রবিবারের মতো শনিবার বিকেল থেকে তুমুল বৃষ্টি হয় কলকাতায়৷ কয়েকঘণ্টার বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে যায় শহরের নীচু এলাকাগুলিতে৷ ওই জলমগ্ন রাস্তাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ১৩ বছরের এক কিশোর৷ নিশীথের মতো ওই কিশোরের হাতও লেগে গিয়েছিল একটি বাতিস্তম্ভে৷ পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷
এদিকে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে বাতিস্তম্ভ থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷ উদ্বেগে পড়ে গিয়েছে পুর কর্তারা৷ যে বাতিস্তম্ভ থেকে ওই কিশোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সেটি কলকাতা পুরসভার বলে জানা গিয়েছে৷ তাই এলাকার মানুষ কলকাতা পুরসভার উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন৷ এদিকে ঘটনার পরই ওই এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়৷ রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক৷ কার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ সিইএসসিকে জানানো হয়েছে৷ খুব তাড়াতাড়ি সিইএসসি এবং কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে৷
পুলিস জানিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম মহম্মদ ফাইজান৷ বাড়ি নারকেলডাঙা থানা এলাকার রাজা রাজনারায়ণ স্ট্রিটে৷ কলকাতা পুরসভার একটি বাতিস্তম্ভে হাত লাগার পরই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে৷ পরিবারের তরফে কিশোরকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে৷ সেখানে চিকিৎসকরা ফাইজানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ কিন্তু বাড়ির লোক চিকিৎসকদের কথা বিশ্বাস করতে চাননি৷ ফাইজানের দেহ নিয়ে তাঁরা চলে যান দুটি বেসরকারি হাসপাতালে৷ সেখান থেকেও একই কথা জানানো হয়৷
Be the first to comment