পিয়ালি :-
“অন্ধ ভূমিগর্ভ হতে শুনেছিলে সূর্যের আহ্বান, প্রাণের প্রথম জাগরণে, তুমি বৃক্ষ, আদি প্রাণ “..
“গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান ” অথবা “একটি গাছ একটি প্রাণ ” থেকে আধুনিকতম শ্লোগান হলো “একটি গাছ অনেক প্রাণ ” । বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তার কথা এখন আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। রবীন্দ্রনাথের “বৃক্ষবন্দনা” কবিতা দিয়ে আমরা লেখা শুরু করেছি।
বর্তমানে বিশ্ব – উষ্ণায়ন যেভাবে শুরু হয়েছে তাতে শুধু শ্লোগানে আর কাজ হবে না। শুধু ভাবনা বা কবিতা দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা যাবে না। সচেতনতার পাশাপাশি পথে নামতে হবে সবাইকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোরতর পরিবেশ – সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু বছর আগে থেকেই শুরু করেছেন অরণ্য সপ্তাহ পালন। শুধু তাই নয়, কখনও বিধানসভায় কখনও ইডেন গার্ডেন্সে সরকারি উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ পালিত হচ্ছে। কলকাতা প্রেসক্লাব ও মুখ্যমন্ত্রীকে অনুসরণ করে কিছু বছর ধরে ক্লাব প্রাঙ্গণে বনমহোৎসব পালন করছে।
এই বছর সোমবার ১৫ ই জুলাই প্রেসক্লাব এই মহতি উদ্যোগে সামিল হলো। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক, সহসভাপতি প্রসূন আচার্য এবং বনদপ্তরের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। ক্লাবের বাগানে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছও লাগানো হয়। বনোদপ্তরের উদ্যোগে প্রত্যেক ক্লাব সদস্যকে বিনামূল্যে দেওয়া হয় ২টি করে গাছ।
তবে সম্পাদক তার বক্তব্যে বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন গাছ লাগানো হয় কিন্তু সেগুলো যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মরে যায়। পাশাপাশি নগরায়ন তথা রাস্তা ঘাট চওড়া করার স্বার্থে নির্বিকারে প্রচুর গাছ কেটে ফেলা হয়। ন্যাশনাল হাইওয়ের পাশে বড় গাছ লাগানোয় হয়তো অসুবিধা আছে বলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যেসব গাছ থেকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা নেই সেরকম ছোট গাছ আর বেশি লাগানো হয় না কেনো?
সহসভাপতি প্রসূন বাবু সাংবাদিকের পাশাপাশি পরিবেশ কর্মী হিসাবেও পরিচিত। তিনি বলেন, জলাভূমি বুজিয়ে ,গাছ কেটে একের পর এক সুউচ্চ বাড়ি তৈরি হচ্ছে, এটা একটা সামাজিক অপরাধ। এর ফলেই পরিবেশ এতটাই আমাদের প্রতিকূল হয়ে গেছে। কলকাতায় এত গরম কোনোদিন পড়ত? এর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। বনদপ্তরের আধিকারিকরাও সুচিন্তিত বক্তব্য পেশ করেন।
শ্লোগান দেয়া হয় “গাছ বাঁচলে বাঁচবে প্রাণ – করব সবুজের অভিযান।”
রাজ্যের বনবিভাগ ও প্রেস ক্লাব আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি।
ছবি :- মৌসম মুখার্জী
Be the first to comment