রাজ্য সরকারের লাগাতার চাপের মুখে সিদ্ধান্ত বদল করল সিইএসসি। এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুতের বিল আপাতত জমা দিতে হবে না গ্রাহকদের। শুধুমাত্র জুনের বিল জমা দিলেই চলবে। আর এই সুবিধা পাবেন সব শ্রেণির গ্রাহকরা। রবিবার সন্ধ্যায় সিইএসসি-র পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে একথা জানানো হয়েছে।
তবে শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনও এখনই রেহাই নেই। যদিও বিল জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
এ দিকে, বিদ্যুতের বিল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁর নিজের বাড়ির বিলও বেশি এসেছে বলেও জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী। পাশাপাশি নাগরিকদের স্বার্থে সিইএসসি-র কাছে এত বেশি বিদ্যুতের বিল কেন, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এরপর শনিবার বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা বিজ্ঞাপন দিয়ে জানায়, তারা কোনও বাড়তি বিল নিচ্ছে না। লকডাউনের জেরে এপ্রিল ও মে মাসে মিটার রিডিং নেওয়া যায়নি। ফলে ওই ২ মাসে গড় করে বিল পাঠানো হয়েছে। যদিও তাতে নাগরিকদের ক্ষোভ কমেনি।
এরপর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় শনিবার ফের সংস্থাকে নির্দেশ দেন, বিজ্ঞাপনে কোনও কিছুই স্পষ্ট হয়নি। তাই বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে ফের বিজ্ঞাপণ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন সিইএসসি-কে।
এরপরই চাপের মুখে সুর নরম হয় সিইএসসি-র। চাপের মুখে সিদ্ধান্ত বদল করে। আপাতত এপ্রিল ও মে-এর বিল স্থগিত করার কথা ঘোষণা করেছে। সেক্ষেত্রে জুনের বিল দিলেই চলবে।
সংস্থা বিবৃতিতে জানিয়েছে, “সমাজের কিছু অংশের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শেষ ২ মাসের অতিরিক্ত আপাতত দিতে হবে না। তবে চলতি মাসের বিল দিতে হবে।
এদিন কী বললেন বিদ্যুৎমন্ত্রী?
শুনুন!
Be the first to comment