রোজদিন ডেস্ক :- ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হলো জলদাপাড়ার হলং বাংলোটি। বন দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ সরকারি আবাসনটিতে আগুন ধরে যায়।
অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বন বাংলোটিতে। এটির সঙ্গে বহু বিশিষ্ট মানুষের স্মৃতি জড়িয়ে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুও হলং বাংলোটি পছন্দ করতেন। পর্যটকদের মধ্যেও এই বাংলোর চাহিদা ছিল প্রচুর।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় ফালাকাটা ও হাসিমারা দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। তবে শত চেষ্টার পরও শেষ রক্ষা করা গেল না। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ডুয়ার্সের ঐতিহ্যবাহী হলং বাংলো। শর্ট সার্কিটের থেকে এই অগ্নিকাণ্ড বলে অনুমান বন দফতরের আধিকারিকদের।
এখন পর্যটকদের জন্য জঙ্গল বা অভয়ারণ্য বন্ধ রয়েছে। ফলে হলং বাংলোয় পর্যটকরা ছিলেন না। ফলে এ ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই বলেও বন দফতর তরফে জানানো হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই বন বাংলোতে থাকার ব্যবস্থা ছিল এবং এখান থেকে জাতীয় উদ্যানের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যেত। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, বন বিভাগের কর্মীদের অসাবধানতার কারণেই এই আগুন লেগেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বন বিভাগ।
প্রতি বছর ১৫ জুন থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর অবধি বন্ধ থাকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। তার মধ্যেই এই বিপত্তি। এই বাংলো থেকে চারপাশের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতেন পর্যটকরা। হাতি, একশৃঙ্গ গন্ডার, গৌর, ভারতীয় বাইসনের দেখাও মিলত। অনেক সময় সাফারিতে গিয়ে চিতা দর্শনের অভিজ্ঞতাও রয়েছে পর্যটকদের। হাতি সাফারির বন্দোবস্তও করা হতো এখানে। জানা গিয়েছে, বন বাংলোয় পাঁচটি বড় ডাবল বেডরুম ছিল। শিলিগুড়ি থেকে সড়কপথে এর দূরত্ব ১৩৫ কিলোমিটার।
Be the first to comment