রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পেলেন রাজ্যের পুলিশ অফিসার রোকেয়া খাতুন। অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল দেশের রাজধানী দিল্লিতে। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বাড়ায় দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের অনুষ্ঠান বাতিল হয়।
অবশেষে মঙ্গলবার কলকাতার আলিপুরে ডাইরেক্টর অফ সিকিউরিটি অফিসে এক অনুষ্ঠানে এডিজি বিবেক সহায় (আই.পি.এস) এই পুরষ্কার রোকেয়া খাতুনের হাতে তুলে দেন। রাজ্য থেকে মোট সাত জন রাষ্ট্রপতি সম্মান পান। পুলিশ অফিসার রোকেয়া এর আগে রাজ্য-পুলিশ মেডেল, সর্বোচ্চ পুলিশ অ্যাথলেট (সি, আই, ডি), ব্রিগেড পুলিশ থেকে টানা দশ বছর দৌড়বিদ পুরষ্কার পান।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা রোকেয়া স্কুল, কলেজে পড়াকালীন রাজ্য-অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় পাঁচটি বিভাগে সোনার পদক পান। উল্লেখ্য, এ বছর স্বাধীনতা দিবসের আগে পশ্চিমবঙ্গের সাত পুলিশ অফিসারকেও পুরস্কৃত করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তদন্তে তাঁদের অসামান্য দক্ষতার জন্যেই তাঁদের ওই মেডেল দেওয়া হয়েছিল। তদন্তে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক ওই পুরস্কার পান সাতজন পুলিশ অফিসার। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ৫ জন ও কলকাতা পুলিশের ২ জন অফিসার।
সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের যে সমস্ত আধিকারিকরা পুরস্কার পান, তাঁরা হলেন ইন্সপেক্টর সুবীর কর্মকার, ইন্সপেক্টর বিজয় কুমার যাদব, সাব-ইন্সপেক্টর সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সাব-ইন্সপেক্টর প্রদীপ পাল, মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর বর্ণালি সরকার, ইন্সপেক্টর শুক্লা সিনহা রায় এবং কলকাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর শ্রী ডেনিস অনুপ লাকরা।
কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের ওই সাত অফিসার হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি এবং মানুষ পাচারের মতো অপরাধের তদন্তে দক্ষতা এবং দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করেছেন। সেই সূত্রেই তাঁদের সম্মানিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
২০১৮ সাল থেকে দেশের সেরা তদন্তকারী অফিসারদের তদন্তে উৎকর্ষতার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মেডেল দেওয়ার রীতি চালু হয়েছে। এ বছর দেশের মোট ১২১ জন তদন্তকারী অফিসারকে মেডেল দেওয়া হয়েছিল। এ বছর সবচেয়ে বেশি মেডেল প্রাপক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ সিবিআই সিবিআই-এর ১৫ জন অফিসার মেডেল পেয়েছিলেন।
Be the first to comment