রোজদিন ডেস্ক :- বিজেপির বসিরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক সিরিয়া এ বার যোগ দিলেন তৃণমূলে। বৃহস্পতিবার শশী পাঁজা এবং মমতাবালা ঠাকুরের উপস্থিতিতে তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন তিনি।
সরস্বতী পুজোর দিন। সকাল সকাল উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল টাকি। সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। তাঁর উপস্থিতিতেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। সুকান্ত উঠে পড়েছিলেন পুলিশের গাড়ির বনেটে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল বিজেপির এক নেত্রীকে। নাম সিরিয়া পারভিন।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে সিরিয়া বলেন, ‘‘আমার লড়াই মহিলাদের সম্মানের জন্য। সন্দেশখালিতে মহিলারা নির্যাতিত, ধর্ষিত শুনে তাঁদের হয়ে আমি লড়াই করছিলাম। কিন্তু অনেক দিন ধরেই এ বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন মনে উঁকি মারছিল। সন্দেশখালিতে গিয়ে সে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি। তার পরে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
সিরিয়ার কথাতে জানা যায় বসিরহাটের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর আমি সন্দেশখালিতে যাই। কিন্তু গিয়ে দেখলাম, এটা সম্পূর্ণ বানানো গল্প। সেখানে আন্দোলন করার জন্য মহিলাদের টাকা দেওয়া হত, মোবাইল দেওয়া হত। কবে, কী হবে, আগে থেকে মিডিয়াকে খবর দিয়ে দেওয়া হত। ২০১৬ সাল থেকে আমি পার্টির সঙ্গে ছিলাম। এ সব দেখে মন ভেঙে যায়।’’
উল্লেখ্য, সুকান্তের সঙ্গে পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে প্রথম বার খবরের শিরোনামে এসেছিলেন সিরিয়া। সে সময় তাঁকে হাসনাবাদ থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে জামিন পান সিরিয়া। বিজেপির বিরুদ্ধে সন্দেশখালির আন্দোলন সাজানোর অভিযোগ উঠেছে আগেই। ‘স্টিং’ অপারেশনের একাধিক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে (সে সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি রোজদিন ডেস্ক)। তার পর তৃণমূলে যোগ দিয়ে একই অভিযোগ করলেন সিরিয়াও।
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে গত ১৫ মে-র ঘটনার বর্ণনা করেন সিরিয়া। বলেন, ‘‘১৫ মে সন্দেশখালিতে আবার এক মহিলা নতুন করে শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের অভিযোগ করেন। আমার কাছে ফোন আসে, সন্দেশখালি যেতে হবে। মেসেজ আসে, ‘এটা আমাদের তৈরি করা’ বলে। গিয়ে দেখলাম, পুলিশের এফআইআরে বলা হয়েছে, মহিলার শ্লীলতাহানি হয়েছে। পরের দিন ওই মহিলা গোপন জবানবন্দি দিতে গিয়ে বলেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সে দিনই আমার মন আরও ভেঙে যায়।’’
Be the first to comment