রোজদিন ডেস্ক :- সোনারপুরের ডন জামালউদ্দিন সর্দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সালিশি সভায় মহিলার পায়ে শিকল বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছে সে। আর এই নিয়ে ৭ জুলাই সোনারপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়।
সেই জামাল অবশেষে গ্রেফতার হল আজ। মঙ্গলবার তার কুকীর্তির কথা সামনে আসার পর থেকেই তাকে খুঁজছিল পুলিশ। তন্নতন্ন করে তিনদিন ধরে তল্লাশির পরে আজ, শুক্রবার রাতে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স এবং নরেন্দ্রপুর থানার মাঝামাঝি এলাকা থেকে ধরা হয় তাকে।
কাল বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে তাকে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক সূত্রে থেকে খবর পাওয়া যায় যে পারিবারিক বিবাদ মেটানোর জন্য জামালের বাড়িতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল নির্যাতিতা মহিলা ও তাঁর স্বামীকে। কিন্তু তাঁর কথা শোনার আগেই শিকল দিয়ে বেঁধে ফেলা হয় তাঁর পা। এরপর শুরু হয় মারধর। ওই মহিলা বলেন, ‘জামালের বাড়িতে ঢুকতেই আমার পা শিকল দিয়ে বেঁধে দেয়। লাঠি-বাঁশ দিয়ে শুরু হয় মারধর। ওই অবস্থাতেই প্রশ্ন করতে থাকে আমাকে। আমার স্বামী আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তখন তাঁকেও মারধর করা হয়। আমাকে পরের পর চড় মারে ওরা। ঘুষি মারে।”
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই প্রথম নয়, জামালউদ্দিন এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এলাকার অনেকের জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে সে। প্রতিবাদ করলেই অমানুষিক নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়েছে।
সোমবার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করতে যান। তাঁকে সামনে পেয়ে জামালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামের মানুষ।
এই ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত, জামালের সঙ্গী মুজিদ খাঁ এবং অরবিন্দ সর্দারকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে জামালের খোঁজ মিলছিল না। এর পরে বুধবার জামালের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানায় নতুন একটি এফআইআর দায়ের হয়। সেখানেও হেনস্থা এবং তোলাবাজির অভিযোগ করেন আরও এক অভিযোগকারিণী।
পুলিশ বারবার জামালের বাড়িতে হানা দিলেও, গেটে ছিল তালা। মোবাইলও বন্ধ ছিল। শেষমেশ শুক্রবার রাতে পুলিশের জালে পা দিলো জামাল।
Be the first to comment