হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেরই পরিবারের অন্তত একজন সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। এবার সেই হরিয়ানারই সোনেপতে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন এক কার্গিল শহিদের স্ত্রী। জানা গিয়েছে সঙ্গে আসল আধার কার্ড ছিল না। ছেলে পবন আধার কার্ডের ছবি দেখালেও ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে শহীদ পুত্র।
শহীদ স্ত্রী মৃতার নাম শকুন্তলা দেবী। ৫৫ বছরের ওই মহিলা গলার ক্যানসারে ভুগছিলেন, ছিল হৃদরোগও। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই মহিলাকে বৃহস্পতিবার সকালে সোনেপতে টিউলিপ নামে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর ছেলে।
ভর্তি না নেওয়ায় রেগে গিয়ে পবন ম্যানেজারকে ডাকতে বললে এক মহিলা বেরিয়ে এসে বলেন, হয় আধার কার্ড দেখাতে না হলে ভালোয় ভালোয় হাসপাতাল ছেড়ে চলে যেতে। কথা কাটাকাটি শুরু হতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে হাসপাতাল চত্বরে ‘অকারণে’ অশান্তি করার জন্য হুমকি দেয় তাঁকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য শকুন্তলাকে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শকুন্তলা ছিলেন হবালিদার লক্ষ্মণ দাসের স্ত্রী। লক্ষ্মণ দাস কার্গিলের কাছে মুস্কো উপত্যকায় ৮ জাঠ রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৯-এর ৯ জুন কার্গিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের গুলিতে তিনি শহিদ হন।
Be the first to comment