রোজদিন ডেস্ক :- রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন সন্দেশখালিতে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেলো হানা দিল সিবিআই। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়ের বাড়িতে মিলল একাধিক বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর পরিমাণ বোমা।সন্দেশখালির আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপাড়া এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খাঁর ভগ্নিপতি আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে এদিন হানা দেয় সিবিআই।
গোপন সূত্র ধরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, এই বাড়িতেই প্রচুর বোমা মজুত করে রাখা আছে বলে তল্লাশি চালানো হয়।
সিবিআইয়ের দাবি, বাড়ির মেঝে খুঁড়তেই একের পর এক বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ মেলে। প্রচুর বোমাও মজুত করা হয়েছিল সেখানে। আরও অস্ত্র ও বোমার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বোমা খোঁজার জন্য বিশেষ স্ক্যানারও নিয়ে আসা হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছিল এনআইএ-র টিমকেও।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই।এবং তারপর থেকে দফায় দফায় সন্দেশখালি যান কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। গত শনিবারও সিবিআইয়ের দু’টি দল সন্দেশখালিতে গিয়েছিল। শুক্রবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় অভিযান।
এইদিন ভেরি ঘেরা সন্দেশখালিতে কোথায় কোথায় লুকোনো আছে বিস্ফোরক, খুঁজে বার করতে কাজ শুরু করল এনএসজির উন্নত প্রযুক্তির রোবট।
এনএসজির কম্যান্ডোরা এলাকায় পৌঁছেই উন্নত প্রযুক্তির এই রোবটটিকে বিস্ফোরক খোঁজার কাজে লাগায়। হাই ডেনসিটির ক্যামেরা লাগানো রয়েছে রোবটটিতে বলে জানা যায়। আলপথ ধরে সেটিকে নিয়ে যাওয়া হয় আবু তালেবের বাড়ির দিকে। বড় বিস্ফোরণ হতে পারে এমন আশঙ্কায় গোটা এলাকা খালি করে বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপরেই নতুন করে তল্লাশি শুরু করে এনএসজির বম্ব স্কোয়াড শাখার কর্মীরা।
বেলা হতেই পৌঁছায় এনএসজির টিম। ঘটনাস্থলে রাতারাতি কন্ট্রোল রুম তৈরি করে সেখান থেকে রোবট দিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে এনএসজির টিম। ক্যামেরা লাগানো এই রোবটের মাধ্যমে দূর থেকেই বিস্ফোরকের হদিশ পাওয়া সম্ভব। রোবটের আর্ম তল্লাশি চালানোয় বিপদের আশঙ্কাও কম।
Be the first to comment