রোজদিন ডেস্ক :- আবারো সন্দেশখালি একটি নতুন ভাইরাল ভিডিও নিয়ে উঠে এলো এক বিস্ফোরক মন্তব্য । বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র সংশয় প্রকাশ করছেন যে, সন্দেশখালির আন্দোলনকারী হিসেবে যাদের রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল , তাঁরা কি সত্যিই আন্দোলনকারী ছিলেন?
নতুন যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে রেখা-সহ তিন মহিলাকে দেখা গিয়েছে। এক মহিলাকে বলতে শোনা যায়, “আমরা সন্দেশখালির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম আমরা সবাই। আমাদের ছাড়া রাষ্ট্রপতি ম্যাডামের কাছে কারা গেল? আমরা তাহলে কারা?”
অপর এক মহিলা বলেন, “অনুপ দাস নিয়ে গিয়েছিল বলে খবর পেয়েছি। ভিতরে ভিতরে শিবু হাজরার কাছ থেকে মাসে ১০ হাজার টাকা করে নিতেন। ওঁর সঙ্গে একজন গিয়েছিলেন, তাহলে কি ওই মহিলা তৃণমূলের লোক, উপরে উপরে বিজেপি করেন?”
ভাইরাল ভিডিও নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই এবার থানায় তলব করা হল সন্দেশখালির বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পিকে। পুলিশের দাবি, আজই পাঠানো হয়েছে নোটিস। তিন দিনের মধ্যে সন্দেশখালি থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ, ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার করে নিতে যাওয়ায় ভয় দেখান ও হুমকি দেন মাম্পি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার মাম্পিকে তলব করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ।
এ নিয়ে সন্দেশখালিরতৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাত বলেন, “গোটাটাই নাটক ছিল। কখনও রেখাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কখনওবা অন্যদের নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এই জঘন্য ষড়যন্ত্রে সন্দেশখালির মহিলাদের যে অসম্মান হয়েছে, গোটা বাংলার অসম্মান হয়েছে, বিজেপি–র মতো রাজনৈতিক দল এই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। এই জঘন্য, নির্লজ্জ রাজনীতি গোটা দেশে কায়েম করতে চায় বিজেপি।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “যাঁদের সামনে আনা হয়েছে তাঁরাই কি শুধু ভুক্তভোগী? যাঁরা মুখ খুলছেন না, যাঁরা প্রকাশ্যে আসছেন না, তাঁরা কি ভুক্তভোগী নন? তাঁরা রাষ্ট্রপতির সামনে বলেন। সন্দেশখালিতে পাড়ায় পাড়ায় ভুক্তভোগী। ১০ বছর ধরে এই ঘটনা চলছে। যাঁরা একথা বলছেন, নির্বাচনের পর বুঝতে পারবেন যখন সকলে রাস্তায় নামবেন।”
Be the first to comment