সন্দেশখালি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর হল পাত্রপাড়া, সেখানে মোক্ষম ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ হানল তৃণমূল..

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক:- সন্দেশখালি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বিজেপি নেত্রী সিরিয়া পারভিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে, বিজেপির ভিত সন্দেশখালিতে কার্যত নড়বড়ে।
বৃহস্পতিবার ছিল শেষ ভোট প্রচার। এদিন সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়ালেন তৃণমূলনেত্রী সিরিয়া। প্রথমে তিনি যান তুষখালিতে। সেখানে মহিলাদের নিয়ে মিটিং করার পর আন্দোলন নিয়ে মানুষকে সচেতন করেন। এরপর তিনি হাজির হন মথুরাপুরে। পরে যান সন্দেশখালির ত্রিমোহিনী বাজারের পাত্রপাড়াতে। সেখানে রেখার প্রায় ৩০০ ছায়াসঙ্গীকে নিয়ে বৈঠক করার পাশাপাশি এলাকায় একটি মিছিল করেন। সবশেষে ছিল দুপুরে খাবারের আয়োজন। সিরিয়া বলেন, বিজেপিতে থাকাকালীন সন্দেশখালির মহিলাদের নিয়ে যেভাবে রাজনীতি করা হয়েছে, সেটাকে ধিক্কার জানাই। একাধিকবার এই আন্দোলন নিয়ে আমাকেও অপদস্ত করা হয়। তাই যাঁরা নিজেদের দলের মহিলা কর্মীদের সম্মান দিতে পারেন না, তাঁরা বাইরের মহিলাদের সম্মান দেবেন, এটা চিন্তারও বাইরে। আসলে ভোটবাজারে মহিলা দরদ দেখাতেই কৃত্রিম এক নারীশক্তি নিয়ে কথা বলছে বিজেপি।
এদিন রেখা পাত্রের ছায়াসঙ্গীরা তৃণমূলের কর্মসূচিতে শামিল হন। আন্দোলন নিয়ে এখন প্রত্যেকেই কম বেশি নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই এখন তাঁরা বিজেপির থেকে দূরত্ব সৃষ্টি করতে চান বলে জানান। এ নিয়ে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বলেন, তৃণমূল নিজেদের লোকজন নিয়েই পিকনিক করেছে। আন্দোলনকারী কোনও মহিলাই তৃণমূলের কর্মসূচিতে ছিলেন না। এদিকে, শেষ দফা নির্বাচনের আগে শর্তসাপেক্ষে কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পেলেন বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর ৫ সঙ্গী। ভোটদান করতে পারলেও নির্বাচনের কাজে কোন ভাবেই তাঁরা যুক্ত থাকতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার নির্দেশে এমনটাই জানিয়েছে হাইকোর্ট।
সন্দেশখালি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর ছিল পাত্রপাড়া। সেখানে মোক্ষম ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ হানল তৃণমূল! বৃহস্পতিবার ভোটপ্রচারের শেষলগ্নে এলাকার প্রতিবাদী মহিলাদের নিয়ে মিছিল ও বনভোজনের আয়োজন করলেন তৃণমূল নেত্রী সিরিয়া পারভিন। কর্মসূচিতে শামিল হন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের ‘ছায়াসঙ্গীরা’। তাই দেখে এলাকার মানুষই প্রশ্ন তুলছেন, শেষবেলায় তৃণমূলের এই মাস্টার স্ট্রোকে সন্দেশখালিতে পদ্মপার্টি বেসামাল হবে না তো? ভোটের বাজারেও লোকমুখে আলোচনার বিষয় হল, একসময়ের আন্দোলন যে বাইরের উস্কানিতে হচ্ছিল, তা মানুষের কাছে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। আন্দোলনের সেই গোপন রহস্য ফাঁস হতেই মুখ পুড়েছে পদ্মনেতাদের। ইভিএমে এর প্রভাব পড়বে বলে অভিমত সাধারণ মানুষের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*