কেন্দ্রের মোদী সরকারের বর্তমান নীতির ফলে ২০১৪ সাল থেকে দেশের অবস্থার ক্রম অবনতি হয়েছে৷ তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল সময়ের ডাক।
বুধবার “সময়ের ডাক”য়ের একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলো কলকাতা প্রেস ক্লাবে। গণ আন্দোলনের অগ্রণী কর্মী বিশ্বনাথ চক্রবর্তী অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে বলেন “দেশের এক ভংকর সঙ্কটময় সময়, আমাদের সংবিধান গণতন্ত্র সঙ্কটের সম্মুখে, তাই আর সময় নেই সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে তাই দল মত নির্বিশেষে আমাদের সকলকে এক হতে হবে।” তিনি বামপন্থী বন্ধুদেরও বলেন, যে কেন্দ্রে ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান।
মঞ্চে দেখা যায় পূর্ণেন্দু বসুকে যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মন্ত্রী তথা বাংলার গণ আন্দোলনেরই বিশেষ পরিচিত মুখ। তিনি বলেন, আমরা এখানে কোনো দলীয় পতাকা নীচে বক্তব্য রাখছিনা। আরএসএস ও বিজেপির যৌথ সংসার গোটা দেশকে ফ্যাসিস্ট রাজের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হবার পর দেশে কর্মসংস্থান নেই, দারিদ্র বাড়ছে, টাকা নেই বাজারে, কৃষি অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। এমন বিপদে কেন্দ্র রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে কখনও বেসরকারিকরণ আবার কখনও বিলগ্নিকরণ করছে। তিনি আরোও বলেন, গোটা দেশে বিভেদ লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, সব জায়গাতেই দলতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা চলছে। গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে, বিচারব্যবস্থাও প্রশ্নের সম্মুখে। এরই মধ্যে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও কেবল বাংলা নয় অন্য রাজ্যেও প্রশ্ন উঠছে।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপাল এমন কাজ করছে যা এর আগে কোনো রাজ্যপাল করেননি। এর পাশাপাশি আরএসএস ও বিজেপি যেভাবে এনআরসি নিয়ে হুমকি দিচ্ছে সে বিষয়েও আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে লড়াই করতে হবে। তাই আমাদের সকলকে একত্রিত হয়ে লড়াই করতে হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এমনকি সাংবাদিকদের হত্যাও করা হচ্ছে।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গণ আন্দোলনেরই এক বিশেষ পরিচিত মুখ দোলা সেন। বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অভিক মজুমদার, অধ্যাপক দীপঙ্কর দে, বিশিষ্ট সমাজসেবী অশোকেন্দু সেনগুপ্ত, সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য প্রমূখ। এবং সকলকেই বলেন এটা কেবলই বক্তব্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তারপরই তাঁরা সকলে ডরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থান বিক্ষোভ জানান এবং এই বিক্ষোভ চলতে থাকবে এও জানান তাঁরা।
দেখে নিন এই “সময়ের ডাক”য়ের ১৭ দফা দাবী…
Be the first to comment