রোজদিন ডেস্ক :- মোদী হটাও দেশ বাঁচাও,এই বার্তা নিয়ে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই সারা রাজ্য জুড়ে প্রচার চালাচ্ছে, তারই একটি অংশ ছিল গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ সমীর পুততুন্ডু, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ও সঙ্গীতকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট কবি জয় গোস্বামী, সংগীতশিল্পী সৈকত মিত্র , বিশিষ্ট সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত ও সুমন ভট্টাচার্য্য প্রমূখ।
এই দেশ বাঁচাও গণমঞ্চে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে যে বিষয় গুলির উপর মূলতঃ আলোকপাত করা হয়, এবং ভারতবর্ষে যেন গণতন্ত্র ধ্বংস না হয়ে যায়, সেই বার্তাই জনগণের মধ্যে প্রেরন করা এই সভার মূল উদ্দ্যেশ্য ছিল।
হিন্দু মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ে বিজেপি ক্রমাগত যে মিথ্যে তথ্য এবং ভুল পরিসংখ্যান দিয়ে জনগণ কে প্রভাবিত করতে চাইছেন, সেই বিষয়েই সকলকে সচেতন করাই ছিল অধিক প্রয়োজনীয় ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্রমাগত জাতিগত মেরুকরণের প্রচেষ্টা নিদর্শন দিচ্ছেন। দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ মনে করে বিজেপি কে হারাতে হলে, সব বিরোধী ভোট কে এক জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। তাই যে রাজ্যে যে শক্তিশালী তাঁদেরই ভোট দিতে হবে। পশ্চিম বঙ্গের ক্ষেত্রে তৃণমুল ই বিজেপি কে হারানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত দল।
নির্বাচন কমিশন যেনো সুষ্ঠ ভাবে, নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে। সমস্ত বুথে পোলিং এজেন্টরা যেন ফর্ম ১৭ সি এর ব্যবহারে সতর্ক থাকেন। দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য বারে বারে নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারক লিপি জমা দিয়েছে।
মোদী সরকারের অর্থনীতি আসলে ধনীদের আরো ধনী করেছে এবং গরীব দের আরো গরীব। এই সভায় আরো বলা হয় যে নরেন্দ্র মোদী ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। শেষ দফা ভোটের আগে এই বিষয়টি আমরা সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই।
Be the first to comment