সিকিমে ভয়াবহ ধসে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একাংশ

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- 

ফের একবার ভয়াবহ ধস সিকিমে। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তিস্তা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একাংশ। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বালুতার এলাকায়।
গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে সিকিমের বিভিন্ন প্রান্তে ধসের জেরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, মঙ্গলবারের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছিল নজিরবিহীন। এ দিনের ধসের জেরে পাহাড়লাগোয়া ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশনের তিস্তা স্টেজ-৫ বাঁধটি ভেঙে পড়ে।
ইতিমধ্যেইসেই বাঁধ ভাঙার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে পর্যটকরা। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এ দিন সকালে পাহাড়ের বিশাল অংশ ভেঙে পড়ছে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপরে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তিস্তার স্টেজ ৫ বাঁধটি। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাঁধের একাংশ। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
স্পর্শকাতর এলাকা হওয়ায় আগেই সেখান থেকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সকল কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে পাহাড়ে বিশাল অংশ ভেঙে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে একাধিকবার ধস নেমেছে সিকিমে। অবরুদ্ধ হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাস্তা সাড়াইয়ের জন্য দীর্ঘসময় ধরে বন্ধ রাখতে হয় রুট। এর ফলে বিপাকে পড়েন সিকিমগামী পর্যটকরা। সেবক থেকে তিস্তা যাওয়ার সময়ও বেশ কয়েকটি জায়গায় জাতীয় সড়ক তিস্তার জলে তলিয়ে যায়। বিপর্যস্ত হয় সিকিমের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক।
ধসের কারণে সেবক-লাভা-আলগাড়া হয়ে গ্য়াংটকে যাতায়াত চলছিল। রে যাওয়ার জন্য অন্তত সাত ঘণ্টা সময় লাগছিল পর্যটকদের। গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও। চলতি বছর একনাগাড়ে চলতে থাকা বৃষ্টিতে পার্বত্য় এলাকায় ধসের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিতে নদীর জলস্তরও বেড়েছে। এছাড়া ভারী বৃষ্টিতে জমির ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনাও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*