চিরন্তন ব্যানার্জি :- সোমবার বাজেটের আগে লোকসভায় আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এদিনের রিপোর্টে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও সমীক্ষায় খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। ২০২৩ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.৬ শতাংশ। ২০২৪ অর্থবর্ষে সেটা বেড়ে ৭.৫ শতাংশ হয়। কেন মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি পেল? রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে খাদ্য উৎপাদনে প্রভাব পড়েছিল। কৃষকেরা কৃষিকাজ করতে গিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। পাশাপাশি এদিনের রিপোর্টে বার্ষিক বেকারত্বের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই হার আগামী অর্থবর্ষে কমতে পারে। করোনা পর্বের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মসংস্থান বেড়েছে। যা ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। মেয়েদের কাজ করার হারও বেড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে এই হার ছিল ২৩.৩ শতাংশ। গত ছ’বছর সেই হার ক্রমাগত বেড়েছে। ২০২২-২৩ সালে তা এসে দাঁড়ায় ৩৭ শতাংশে। বিশেষত, গ্রামের মহিলাদের কাজ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
পাশাপাশি এদিন সমীক্ষা পেশের সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘শেষ অর্থবর্ষের চারটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে তিনটিতেই আর্থিক বৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের বেশি। ২০২৩ এবং ২০২৪ অর্থবর্ষে উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক বৃদ্ধি আগামী বছরেও দেখা যাবে।’’ এই আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতীয় অর্থনীতি একটি শক্তিশালী স্তম্ভ। ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিকা করে অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল।’’ নির্মলা এদিন বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির পর একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল দেশের অর্থনীতি। তবে বর্তমানে দেশের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে।’’ এদিনের পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেষ অর্থবর্ষে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ৮.২ শতাংশ আশা করা হয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মুদ্রাস্ফীতির সূচক ৪.৫ শতাংশ স্থির করেছে। দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানানো হয় রিপোর্টে।
Be the first to comment