রোজদিন ডেস্ক :- এসএসসি দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট এ বিচারাধীন ছিল। আজ সেই মামলার যে বড় প্রশ্ন উঠেছিল তার উত্তর সন্ধানের একটা দিশা দেখাল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার শুনানির পর সংক্ষিপ্ত রায় দিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়ে দিলেন,, “নিয়োগের তালিকা থেকে কি যোগ্য ও অযোগ্য আলাদা করে বাছাই করা সম্ভব? তা যদি সম্ভব হয় তাহলে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া তথা প্যানেল বাতিল করে দেওয়া ভুল হবে।”
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আদালতকে আরও “মাথায় রাখতে হবে যে নবম-দশম শ্রেণির এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করলে পঠনপাঠনও ব্যহত হবে। তাই যোগ্য ও অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব ধরে নিয়ে এই আদালতের সামনে এখন একটাই দায়িত্ব হল, তার সঠিক পরিমাপ করে দাঁড়িপাল্লায় স্থির করা।”
শীর্ষ আদালত এদিনের শুনানিতে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছে তার উপর এখনই পুরোপুরি স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না। তবে হ্যাঁ অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ১৬ জুলাই পর্যন্ত আপাতত কারও চাকরি যাচ্ছে না। বা কাউকে বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে না। যারা চাকরি করছেন মুচলেকা দিয়ে বলতে হবে, অযোগ্য প্রমাণিত হলে তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে এবং শুধু তা নয়, সুপার নিউমারেরি পোস্ট তৈরির জন্য কলকাতা হাইকোর্ট যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল, তার উপরেও অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ রইল।
কিন্তু শীর্ষ আদালত স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছে যে, যদি দেখা যায় কোনও ব্যক্তি বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাহলে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী অবশ্যই বেতনের টাকা ফেরত দিতে তো হবেই প্রসঙ্গত, উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে যে ১২ শতাংশ সুদ সহ বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে।
যোগ্যদের জন্য এক আশার আলো বাঁচিয়ে রাখল শীর্ষ আদালত।
তবে কেন সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা হল, কেন প্যানেলের বাইরে অতিরিক্ত নিয়োগ করা হল, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশের অতিরিক্ত সংখ্যা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মচারী নিয়োগ করল বোর্ড সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, “এটা পরিকল্পিত জালিয়াতি।সরকারি চাকরি বর্তমান সময়ে খুবই অপ্রতুল এবং তা সামাজিক নিশ্চয়তার মধ্যে দেখা হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়াই যদি কালিমালিপ্ত হয়, তাহলে গোটা ব্যবস্থায় আর অবশিষ্ট কী থাকে? মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে। সেটা ফেরাবেন কী করে!”
সুপ্রিম কোর্টে ২০শে মে থেকে গরমের ছুটি পড়ছে। আদালত খুলবে ৭ ই জুলাই এবং ১৬ই জুলাই হবে পরবর্তী শুনানি ।
Be the first to comment