
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- চাকরিহারা শিক্ষকদের ‘যোগ্য-অযোগ্য’ তালিকা প্রকাশ হয়নি সোমবার। এসএসসি ভবনের সামনে চলছে চাকরিহারাদের আন্দোলন। এর মাঝেই রাতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চলবে এসএসসি। যাঁরা স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন, তাঁদের পুরোনো নিয়মেই বেতন দেওয়া হবে।
ডেড লাইন ছিল ২১ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ এসএসসির তরফে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু তা এল না। রাত ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বিবৃতিতে বলেন, ‘‘২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে যে, এসএসসি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলবে। এবং বিভাগ কর্তৃক জানানো হচ্ছে, যে শিক্ষকেরা চাকরি করেছেন, তাঁদের বেতন বর্তমান ব্যবস্থা অনুসারে বিতরণ করা হবে।’’ আইনজ্ঞদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত। কিন্তু যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করা হয়নি বিবৃতিতে।
অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী চাকরিহারা শিক্ষকেরা জানিয়ে দেন, যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা না পেলে তাঁদের আন্দোলন চলবে। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘কথা দিয়েও কথা রাখল না এসএসসি। এই ভাবে অযোগ্যদের বাঁচানোর প্রয়াস চলছে।’’ পাশাপাশি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, এসএসসি চেয়ারম্যান তাঁদের সঙ্গে দেখা না করলে দফতরের সামনে থেকে তাঁরা নড়বেন না। বস্তুত, এসএসসি-র নির্দেশে নতুনত্ব কিছু দেখতে পাননি তাঁরা। তা হলে কেন এত ক্ষণ সময় নেওয়া হল প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা। ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ-সহ যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করার দাবিতে অনড় চাকরিহারারা।
চাকরিহারাদের দাবি, এসএসসি প্রতি মুহূর্তে প্রথম থেকে তাদের মিথ্যা বলেছে। তাঁদের ক্রমশ বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে। এক চাকরিহারা শিক্ষিকার কথায়, ‘‘আমরা বিচার চাই। আমরা এখনই এসএসসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাই। এখনও শুধু টালবাহানা করছেন উনি। আজ ওঁকে ওখান থেকে নামতে হবে। আজই ওঁকে সিংহাসন থেকে নামাব আমরা।’’ অন্য দিকে, সোমবার সারা দিন চাকরিহারাদের বিক্ষোভ এবং অভিযোগের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী বা এসএসসি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কোনও বিবৃতি আসেনি। এসএসসি-র চেয়ারম্যান বিবৃতি দেওয়ার কথা বললেও রাত ১২টার পরেও তালিকা আসেনি। তার পর রাত ১২টার পর ওই বিবৃতি দেয় এসএসসি।
এদিকে, এসএসসি বিবৃতি দেওয়ার পরে র্যাফ নামানো হয় এসএসসি দফতরের সামনে। কাঁদানে গ্যাস নিয়ে দেখা যায় পুলিশকেও। অন্য দিকে, চাকরিহারা শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা ওই জায়গা থেকে নড়বেন না।
Be the first to comment