চিরন্তন ব্যানার্জি :- আগেই বেআইনি হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে কলকাতা শহরের নানা প্রান্তে। এবার কলকাতায় বেআইনি ট্যানারি উচ্ছেদের অভিযানেও নামতে চলেছে কলকাতা পৌর সংস্থা। বুধবার মেয়র পরিষদ পরিবেশ বিভাগ স্বপন সমাদ্দার জানান, কলকাতা পৌর সংস্থা, কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যৌথভাবে বেআইনি ট্যানারি সমস্যা মিটাতে খুব শীঘ্রই অনুসন্ধান চালাতে শুরু করবে। এদিন তিনি বলেন, বুধবার কলকাতা পৌর সংস্থার সাথে কলকাতা পুলিশ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক হয়।
১৯৯৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কলকাতা থেকে সমস্ত ট্যানারিকে শহর থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী সমস্ত ট্যানারি গুলিকে বানতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরেও দেখা যায় যে শহরের বিভিন্ন জায়গায় এখনো অনেক বেআইনি ট্যানারি মালিকরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এবার যৌথ উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে সমস্ত ট্যানারির একটা তালিকা তৈরী করার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পৌর সংস্থা। একমাসের মধ্যে সেই তালিকা জমা পড়লে, তার পরেই বেআইনি ট্যানারি বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মেয়র পরিষদ পরিবেশ বিভাগ স্বপন সমাদ্দার। তাঁর বক্তব্য, কাউকে উচ্ছেদ নয় বিকল্প পূর্নবাসন করে তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান। তবে এই অভিযানে পৌর আধিকারিক বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এর আধিকারিকদের সঙ্গে থাকবে কলকাতা পুলিশও। যাতে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে তার মোকাবিলা করা যায়।
অতীতে দেখা গিয়েছে বেআইনি হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে শহরে বিভিন্ন জায়গায় পৌর আধিকারিকদের মার খেতে হয়েছে। সেই জায়গায় বেআইনি ট্যানারি নিয়ে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রমণের সম্মুখীন হতে হবে না তো পৌর আধিকারিক থেকে নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আধিকারিক দের। সেই প্রশ্নই এখন ঘুরাফেরা করছে।
জানা যাচ্ছে, ট্যানারি সরানোর পাশাপাশি, এদিনের বৈঠকে শহরে প্লাস্টিকের ব্যবহার এবং বায়ু দূষণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
Be the first to comment