রোজদিন ডেস্ক :- শনিবার রাজ্যের যে ৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হল সেই কেন্দ্রগুলি হল বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর, তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম। শেষ পাঁচটি দফার মতো এই দফাও যাতে শান্তিপূর্ণ হয় তার জন্য সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও।
শনিবার ভোট শুরু হওয়ার কিছু আগেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে সাতসকালেই তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। হলদিয়ার এক বুথের বাইরে তাঁর উদ্দেশে ‘চোর’ স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি ‘বিজেপি হটাও’ বলেও স্লোগান দেওয়া হয়েছিল।
বেলা বাড়ার পর আবার একবার বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এবারও ঘটনাস্থল হলদিয়া।
বুথ দখল করে ছাপ্পা দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ পেয়ে তিনি হলদিয়ার ওই বুথে গেছিলেন বলে দাবি করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই তাঁর গাড়িকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান তোলা হয়। ঘটনা সম্পর্কে অভিজিৎ বলেন, ‘‘স্লোগান দিচ্ছে তো আমি কী করব? এখানে ছাপ্পা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ পেয়ে এসেছি। কিউআরটি টিমকে খবর দিয়েছি।” কিছুক্ষণ পর অবশ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে পৌঁছে কার্যত লাঠিচার্জ শুরু করে।
বিক্ষোভকারীদের বুথের কাছ থেকে সরিয়ে দেয় তারা। এরপর অভিজিৎ বুথ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যান।
এদিন সকালে হলদিয়ার বুথে বিক্ষোভের মুখে পড়ার আগেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করেছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নাম না নিয়ে নিশানা করেছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ সন্ত্রাস করছে, নন্দীগ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করছে! ‘ভাইপো’র নির্দেশে এসব কাজ হচ্ছে বলে দাবি ছিল তাঁর। অভিজিৎ এও জানান, “প্রায় হাজার চারেক পুলিশ বাহিনী নন্দীগ্রামে ঢুকেছে ভোটের আগের রাতে। রীতিমতো পুলিশি অত্যাচার চলেছে। “
সকাল থেকে রাজ্যের ৮টি কেন্দ্রের মধ্যে তমলুক থেকেই সবথেকে বেশি অশান্তির খবর আসছে। যদিও নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রেই সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছিল। আর ভোটদানের হারে পিছিয়ে ছিল পুরুলিয়া। সকাল ১১টার তথ্য বলছে, ভোটদানের হারে সবথেকে এগিয়ে ঘাটাল, আর সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে পুরুলিয়াতেই।
Be the first to comment