রোজদিন ডেস্ক :- উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্মগুরুর ডাকে সৎসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই মাত্রাতিরিক্ত ভিড় উপচে পড়ায় পদপিষ্ট হয়ে মারা যান বহু মানুষ। এখনও পর্যন্ত ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ মহিলা এবং বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা রয়েছে।
ইতিমধ্যে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। একই সঙ্গে যে ধর্মগুরুর ডাকে এদিনের ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নারায়ণ সাকার ওরফে ‘ভোলে বাবা’ নামে এক ধর্মীয় গুরুর ডাকে এদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠান শেষে বেরানোর সময় পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, যেখানে এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানে অতি বেশি সংখ্যক মানুষ ডুকে পড়েছিলেন এবং ভিড় সামলানোর জন্য আয়োজকদের তরফে বিশেষ কোনও ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের বা বেরানোর পথটিও ছিল অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ। তারই জেরে হুড়োহুড়ি থেকে পদপিষ্টের ঘটনা বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের।
ঘটনার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছেন।
প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পার্লামেন্টের অধিবেশনে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সব রকম সাহায্য প্রদানের আশ্বাস দেন। যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মী নারায়ণ চৌধুরী এবং সন্দীপ সিং। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব ও পুলিশের ডিজি।
হাথরাসের জেলাশাসক আশিস কুমার জানিয়েছেন, আহতদের উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Be the first to comment