রোজদিন ডেস্ক :- মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক যে কোনও পড়ুয়ার জীবনের প্রথম দুই বড় পরীক্ষা হিসেবে গন্য করা হয়। তবে অনেক সময় এই পরীক্ষাগুলির রেজাল্ট দেখে পরীক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট হতে পারেন না। যে কারণে অনেকে আবার রিভিউ বা স্ক্রুটিনিতে দেন। এরপর দেখা যায়, বহু পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর বেড়ে গিয়েছে। এবারও এমনটা দেখা গিয়েছে। তাই এবার এই নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) সভাপতিও।
১৩০০-রও বেশি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবার শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। মাধ্যমিকের উত্তরপত্র মূল্যায়নের যোগ ভুল করায় নম্বর সংশোধন হয় ১২০০০ পরীক্ষার্থীর। এই ঘটনায় ১৩০০-রও বেশি মূল্যায়নকারী শিক্ষকদের “সতর্কীকরণ” ( caution ) করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
চলতি বছর মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের পর বহু ছাত্রছাত্রী রিভিউ-তে দিয়েছিলেন। এবার তাতে সর্বাধিক ২২ নম্বর বেড়েছিল। অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে আবার এই প্রথম সরাসরি অনলাইন পোর্টালে নম্বর আপলোড করতে হয়েছে পরীক্ষকদের। তা করতে গিয়ে অনেকে সমস্যার মুখে পড়েছেন। উচ্চমাধ্যমিকে বাড়তি ফি-র পরিবর্তে তৎকাল পিপিআর ও পিপিএস চালুকরা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ২৫-৩০ নম্বর করে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এই মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিকে উচ্চ মাধ্যমিকের পর পড়ুয়ারা কলেজে ভর্তি হন। চলতি বছর দেখা গিয়েছে, কলেজে ভর্তি হয়ে যাওয়ার পর অনেক পড়ুয়ার নম্বর বেড়েছে। তা নিয়েও অনেকের মনে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কারণ আগে থেকে যদি নম্বর বাড়তো তাহলে তাঁরা আরও ভালো কলেজে সুযোগ পেতে পারতেন, এমনটা মনে করছেন অনেকে।
Be the first to comment