রোজদিন ডেস্ক :- উপনির্বাচনেও সন্ত্রাসের চেনা ছবি ফুটে উঠল। দেখে নেওয়া যাক বিভিন্ন এলাকায় ভোট পরিস্থিতি কেমন চলছে।
পূর্ণনগরে গুলির চলার অভিযোগ। অভিযোগের তির এখন তৃণমূলের দিকে। বুধবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই ভোট দিলেন রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। রায়গঞ্জ করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৪১ নম্বর বুথে ভোট দেন তিনি। ভোট দিয়ে বেরিয়ে তৃণমূল প্রার্থী বিরোধীদের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
অন্যদিকে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের পায়রাডাঙায় বিজেপি এজেন্টের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। কাল রাত থেকেই পায়রাডাঙা বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আসে। সকালে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর হয়, ঘটনায় ২৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকাবাসী রীতিমতো আতঙ্কিত।
ফের অশান্ত বাগদা। ১৮৮ নম্বর বুথে বহিরাগতদের দিয়ে ছাপ্পা ভোট চলার অভিযোগ পেয়ে চলে আসেন বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস। কেন্দ্রীয় বাহিনী জমায়তে সরিয়ে দিলেও, অশান্ত হয় পরিস্থিতি। পরে বিজেপি প্রার্থীকে দেখে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা। বিজেপি প্রার্থী গাড়িতে করে পালানোর সময় ইট ছোড়া হয়। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, রেয়াত করা হয়নি সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও।
সেই সাথে বাগদায় বুথ জ্যামের অভিযোগ উঠে আসছে। মালিরপোতায় একটি বুথ জ্যামের অভিযোগ। বুথের বাইরে থেকে জমায়েত সরালো পুলিশ।
সকাল ১১টা পর্যন্ত বাংলার চার বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২৪.২৫ শতাংশ। রায়গঞ্জে ভোট পড়েছে সবচেয়ে বেশি, ২৫.৯৮ শতাংশ। পাশাপাশি রানাঘাট দক্ষিণে ২৬.৩২ শতাংশ, বাগদায় ২২.৬৩ শতাংশ এবং মানিকতলায় ২১.৮৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
মানিকতলা উপনির্বাচনে ধরা পড়ল ‘ভুয়ো’ ভোটার। অন্যজনের আধার কার্ড নিয়ে সে ভোট দিতে এসেছিল বলে উল্লেখ করে অভিযুক্ত। সৌভিক সরকার নামে এক ব্যক্তির ভোটার কার্ড নিয়ে ভোট দিতে আসে সে। মুখের সঙ্গে পরিচয়পত্রের চেহারার মিল না থাকায় তাঁকে ভোট দিতে বাধা দেন ভোটকর্মীরা। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে আমতা আমতা করে কথা বলতে শুরু করে অভিযুক্ত, সে জানায়, অন্য কারওর হয়ে ভোট দিতে এসেছে সে। সবশেষে চম্পট দেয় ওই স্থান থেকে। বিজন স্ট্রিটের ভবতরণ সরকার বিদ্যালয়ের ঘটনা এটি।
রানাঘাটের দেবগ্রামে বিজেপি প্রার্থী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে বচসা। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ পরিচয়পত্র দেখানো সত্ত্বেও তাঁকে বুথের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দালাল বলে তোপ দাগলেন বিজেপি প্রার্থী। দুপক্ষের বচসায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। প্রার্থী মনোজ বিশ্বাস বিষয়টি কমিশনকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
Be the first to comment