
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- ছত্তিশগড়ের বিজাপুরে এনকাউন্টারে ১২ মাওবাদীকে খতম করা হল। আর তার জেরে গত এক মাসেরও কম সময় ছত্তিশগড়ে পরপর গুলির লড়াইয়ে প্রায় ৫০ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সেই গুলির লড়াই চলেছে।
এনকাউন্টারে ১২ মাওবাদীকে খতম করা হল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই হয়। তাতেই ১২ মাওবাদীকে খতম করা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যেরও। আহত হয়েছেন দু’জন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে শীর্ষ মহলের তরফে জানানো হয়েছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার সকালে রাজ্য পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানিয়েছেন যে বিভিন্ন সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা নকশাল-বিরোধী অভিযান চালাচ্ছিলেন। সেইসময় বিজাপুরের ইন্দ্রাবতী জাতীয় উদ্যানের কাছে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। তাঁর কথায়, ‘প্রাথমিকভাবে যা খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে গুলির লড়াইয়ে ১২ জন মাওবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে। তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’
ওই পুলিশ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছেন যে নিরাপত্তা বাহিনীর যে দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন রাজ্য পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের অফিসার ছিলেন। অপর স্পেশাল টার্ক ফোর্সের সদস্য ছিলেন বলে দাবি ওই পুলিশ আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, গুলির লড়াইয়ে দুই জওয়ানও আহত হয়েছেন।
প্রসঙৃগত, গত ২ ফেব্রুয়ারি বিজাপুরেই গুলির লড়াইয়ে আট মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল। গত ২০ জানুয়ারি আবার ওড়িশা-ছত্তিশগড় সীমান্তের একটি জঙ্গলে ১৬ জন মাওবাদীকে নিকেশ করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। যে তালিকায় মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যও ছিল। গত ১৬ জানুয়ারি আবার ১৮ মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল। গত বছর ছত্তিশগড়ে বিভিন্ন এনকাউন্টারে মোট ২১৯ মাওবাদীকে খতম করে ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। আর সেই ঘটনার কয়েকদিন আগেই ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলা থেকে বিস্ফোরক নিয়ে দুই মাওবাদীকে গ্রেফতার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়, কেরলাপাল এলাকায় টহলদারির সময় ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মুচাকি জোগার মাথার দাম ছিল এক লাখ টাকা। উদ্ধার করা হয় তিন কেজির ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি), দুটি ডিটোনেটর।
Be the first to comment