পূর্বাভাস আগেই ছিল। গত পাঁচ বছরের মধ্যে শীতলতম বড়দিন দেখল শহর। সোমবার ঠাণ্ডা কিছুটা কমেছিল। মেঘলা ছিল আকাশ। কিন্তু মঙ্গলবার যথারীতি হাজির শীত। শুধু কলকাতা নয়, পারদ কমেছে জেলাতেও।
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৯ ডিগ্রি৷ যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম৷ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.২ ডিগ্রি, যা আবার স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম৷ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি। ২০১৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর তা কমে হয়েছিল ১৩ ডিগ্রি। ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আগের বারের থেকে একটু বেড়ে হয়েছিল ১৮ ডিগ্রি। ২০১৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি৷ গত বছর ২৫ ডিসেম্বর শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বেশ খানিকটা কম, ১৩ ডিগ্রি। চলতি বছর বড়দিনে ১৩’র নীচে নেমে গেল পারদ।
জেলাতেও পারদ পতন অব্যাহত। মঙ্গলবার বর্ধমানের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৮ ডিগ্রি।ক্যানিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রি, কাঁথির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.০ ডিগ্রি। দীঘার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৮ ডিগ্রি। হলদিয়ায় পারদ নেমে হয়েছে ১৩.১ ডিগ্রি। কৃষ্ণনগরের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১০.২ ডিগ্রি। পানাগড়ে তাপমাত্রা নেমেছে ৯.৪ ডিগ্রিতে। মেদিনীপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে পারদ নেমেছে ১০.২ ডিগ্রিতে এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০.৪ ডিগ্রিতে।
উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলায় তাপমাত্রা আরও কম। দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৫ ডিগ্রি, শিলিগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৬ ডিগ্রি, কোচবিহারে পারদ নেমেছে ৯.২ ডিগ্রি, জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি এবং মালদার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৪ ডিগ্রি।
ঠাণ্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কুয়াশা। বেশ কিছু জেলায় দৃশ্যমান্যতা এক কিলোমিটারের নীচে নেমে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তবে একটু বেলা বাড়তেই উঠছে ঝকঝকে রোদ। ফলে কুয়াশা কেটে সুন্দর ঠাণ্ডা ভাব অনুভূত হচ্ছে।
Be the first to comment