ভারতের সংবিধানের ৩৫৫ নম্বর ধারায় বলা আছে, ‘It shall be the duty of the union to protect every state against external aggression and internal disturbance and to ensure that the government of every state if carried on in accordance with the provision of constitution.’ সংবিধানের এই ধারা মাথায় রেখেই কলকাতা হাইকোর্ট পাহাড়ের হিংসা দমনে কেন্দ্রীয় সরকারকে আধা সেনাবাহিনী পাঠাতে বলেছিল। এই ধারা মাথায় রেখেই কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর ২০১৭ সিআরপি প্রত্যাহার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। যদি কোনও রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে আধাসামরিক বাহিনী চেয়ে না পায়, তাহলে এই সামরিক বাহিনী রাখার দরকারটা কী? কিন্তু এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন হলো, পাহাড় থেকে বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্যটা কি? কেন্দ্রীয় সরকার পাহাড়ের অবস্থা জানে। অমিতাভ মালিক শহিদ হওয়ার দু-দিন পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়, তাহলে বুঝতে হবে, বিমল গুরুংদের কেন্দ্র শুধু মদত নয়, উস্কে দিতেও চাইছে। উস্কে দিলে সন্ত্রাস, হিংসা চললে, ব্যঙ্গ করে বলা যাবে, পাহাড় হাসছে না। হাসি ফুটবে এনডিএ শরিক নেতা বিমল গুরুংদের মুখে। এটা কেন্দ্রের মারাত্মক চক্রান্তের একটা নজির মাত্র। হাইকোর্টে প্রাথমিক ধাক্কা খেলেও চক্রান্ত বন্ধ হবে না। আমরা বরং এই লেখার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রশ্ন রাখছি, সংবিধানের ৩৫৫ নম্বর ধারা লঙ্ঘনের দায়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন?
দেবাশিস ভট্টাচার্য
সম্পাদক
১৭.১০.২০১৭
Be the first to comment